রঞ্জি ট্রফির তৃতীয় দিনের শেষে ৬১ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলা। হাতে রয়েছে মাত্র ছ’টি উইকেট। কোনও অঘটন না হলে, এ বারের মতো রঞ্জি ট্রফি জেতার আশা বাংলার কাছে শেষ। তবে শনিবারেও বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লের গলায় আত্মবিশ্বাস। জানালেন, শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত আশা ছাড়তে চান না তিনি।
শনিবার ম্যাচের পর লক্ষ্মী বলেছেন, “ছোটবেলা থেকে একটা জিনিস শুনেই বড় হয়েছি, খেলা যত ক্ষণ না শেষ হচ্ছে তত ক্ষণ কিছুই বলা যায় না। শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত কেউ হারে না। দুটো দলই মাঠে নেমে লড়াই করছে। গত কালও বলেছি, খেলার দুটো দিন দেখে কিছু বলা উচিত হবে না। তবে আজ বলছি, বাংলাকে এখনও অনেক রাস্তা পেরোতে হবে। আজ সকালে বোলাররা যে ভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে এবং মনোজ ও অনুষ্টুপ যে ভাবে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেছে, তা অসাধারণ। কালকের প্রথম সেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি ভাল কিছুই হবে।”
গোটা ম্যাচেই অনেক ক্যাচ মিস করেছে বাংলা। শনিবারই দুটো ক্যাচ ছেড়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং পরিবর্ত ফিল্ডার কাজি জুনেইদ সইফি। সেই প্রসঙ্গে লক্ষ্মী বললেন, “এটা খেলার অংশ। কেউ জেনেবুঝে কিছু করে না। টায়ার যখন পাংচার হয়, তখন ড্রাইভার ইচ্ছাকৃত ভাবে সেই কাজ করে না। সব ইতিবাচক ভাবে নেওয়া উচিত। বাংলা দল ইতিবাচক ছাড়া কিছু ভাবে না।”
লক্ষ্মীর সংযোজন, “যে প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আমরা খেলছি, সেটাই অনুসরণ করে যেতে চাই। ফল যা-ই হোক, বাংলা এই পথেই চলবে। বাংলার ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, সেটা কখনওই শেষ হতে দেব না।”
সৌরাষ্ট্রের কোচ নীরজ ওদেদ্রা জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। বললেন, “তৃতীয় দিনে এসে অবশেষে বাংলাকে পাল্টা লড়াই দিতে দেখলাম। আমাদের বোলাররাও অনেক লড়াই দিয়েছে। রঞ্জি ট্রফি পাঁচ দিনের খেলা। আমাদের এখনও অনেক দূর যেতে হবে। তবে বাংলার আর দুটো উইকেট নিতে পারলেই ম্যাচ আমাদের হাতে চলে আসবে বলে আশা করছি।”