ফের জাল লটারির টিকিট বিক্রির রমরমা কারবার। জামুড়িয়ার পর এবার অন্ডালের উখড়ায় পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই জাল লটারির টিকিট বিক্রেতা। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর জাল টিকিট। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় ২৮ হাজার নগদ টাকা। ঘটনাকে ঘিরে বিস্তর চাঞ্চল্য ছড়াল শিল্পাঞ্চলজুড়ে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম শেখ জামালউদ্দীন ও উত্তম কুন্ডু।
বৃহস্পতিবার উখড়ার বাজপায়ী মোড় ও বাজপায়ী মিল সংলগ্ন দুটি লটারি টিকিটের দোকানে হানা দেয় পুলিশ। জাল লটারি টিকিট বিক্রি করার অভিযোগে শেখ জামালউদ্দিন ও উত্তম কুন্ডু নামে দু’জন গ্রেফতার করে পুলিশ। দোকান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর জাল লটারি টিকিট।
কয়েকদিন আগে জামুড়িয়ায় জাল টিকিট বিক্রির অভিযোগে, বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়। তারপর এদিনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, এই জাল লটারি টিকিটের উৎপত্তি কোথায়? কোথা থেকে আসছে এসব টিকিট। কে বা কারা জড়িত? জানা গেছে, ঝাড়খন্ড থেকে কোনও অসাধু চক্রের মাধ্যমে এধরনের জাল টিকিট এরাজ্যে আসছে। সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল-দুর্গাপুর, অন্ডাল, জামুড়িয়া এলাকায় রমরমা কারবার শুরু করেছে ওই চক্র। টিকিটের পুরস্কার উঠলে তার কোনও মূল্য পাওয়া যায় না। শুক্রবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন খারিজ করে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, “জাল লাটারি টিকিটের সঙ্গে নগদ ২৭৯০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মূল চক্রের হদিশ জানতে ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
প্রসঙ্গত, গত কয়েকবছর ধরে রাজ্যজুড়ে ডিয়ারি লটারি বিক্রি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ, লটারি বিক্রির নামে সাধারন গরিব মানুষকে সর্বশান্ত করছে। আর এই টিকিট বিক্রি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের লটারি টিকিট বিক্রি বড় ধরনের কেলেঙ্কারী। এবার জাল লটারি টিকিটের রমরমা কারবার। যার কবলে পড়ে দৈনিক হাজার হাজার টাকা খোয়াচ্ছে সাধারন দিনমজুর পরিবার।