রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে বিজেপি‚ জানিয়ে দিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
পশ্চিমবঙ্গ হোক বা ত্রিপুরা – ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে বিরোধীদের একটা বড় প্রচারণা হল বিজেপি এই দুটো রাজ্যকে ভেঙ্গে খন্ডখন্ড করে দেবে। যদিও ত্রিপুরাতে বিজেপি সরকারের প্রায় ৫ বছর পূর্তি হয়ে গেলেও রাজ্য ভাগের ন্যূনতম কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি‚ তবুও বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের এই প্রচারণা কিছুতেই থামছে না।
এমতাবস্থাতে বিজেপির ফায়ারব্র্যান্ড নেতা‚ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে বিজেপি ত্রিপুরাকে ভাগ হতে দেবে না।
বিগত রবিবার ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান যে‚ ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ত্রিপুরাকে বিভক্ত হতে দেবে না।
টিপরা মোথা প্রধান প্রদ্যোত দেববর্মার সাথে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, “আমি মহারাজকে (প্রদ্যোত দেববর্মা) গুয়াহাটিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সে কী চায় তা আমি জিজ্ঞেস করার পর সে বলল ‘বৃহত্তর টিপরা ল্যান্ড’।
“বৃহত্তর টিপরা ল্যান্ড কী? – বাংলাদেশ, মিজোরাম বা আসাম থেকে এলাকা কি ত্রিপুরায় আসবে?” হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরও বলেন যে‚ “তিনি (প্রদ্যোত দেববর্মা) ত্রিপুরা উপজাতীয় অঞ্চল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ (টিটিএএডিসি) কে আলাদা করে ত্রিপুরাকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন”।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন‚ “আমি জিজ্ঞাসা করলাম কিভাবে ত্রিপুরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বৃহত্তর টিপরা ভূমি হতে পারে; বিভক্তির পরে এটি বরং আরো ছোট হবে,”।
তিনি জোর দিয়ে বলেন‚ কেউ ত্রিপুরাকে ভাগ করতে পারবে না। বিশ্বশর্মা জানান যে ক্ষমতার জন্য বিজেপি মোথা (দেববর্মার নেতৃত্বে টিপরা মোথা) এর সাথে জোট গঠন করে রাজ্যে ৫০ টি আসন জিততে পারত, কিন্তুক বিজেপি তা করেনি কারণ তাদের শর্ত ছিল ত্রিপুরাকে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে,”
বিজেপি এই দাবিতে রাজি হয়নি কারণ তারা একত্রিত ত্রিপুরা চায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে‚ টিপরা মোথা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে এবং রাজ্যের আদিবাসীদের জন্য আলাদা রাজ্য ‘গ্রেটার টিপ্রাল্যান্ড’-এর জন্য লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। টিপরা মোথার অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে উপজাতীয় পরিষদের জন্য একটি পুলিশ বাহিনী, ২০‚০০০ নতুন চাকরি এবং আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের জন্য এককালীন প্যাকেজ।
এই ত্রিপুরাতে ১৬ই ফেব্রুয়ারি বিধানসভার নির্বাচন হবে। ভোট গণনা হবে ২রা মার্চ। ত্রিপুরার বিধানসভা অধিবেশন ২২ শে মার্চ শেষ হবে।