এবার খোদ ব্রিটেনেই বিবিসি-কে বয়কটের দাবি উঠল। প্রাক্তন জঙ্গি শামিমা বেগমের জীবন নিয়ে ৯০ মিনিটের তথ্যচিত্র বানিয়েছে বিবিসি। তাতে তুলে ধরা হয়েছে জঙ্গির জীবনের ওঠাপড়া। এতেই ক্ষিপ্ত ব্রিটেনবাসী। তাঁদের প্রশ্ন, ‘জঙ্গির জন্যে এত দরদ কেন বিবিসির’?
২০১৫ সালে জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দেয় শামিমা বেগম। আইএসের এক শীর্ষ আধিকারিককে বিয়ে করে। সে কারণে জঙ্গি শিবিরে তার নামই হয়ে যায় ‘জেহাদির স্ত্রী’। কিন্তু ৩ বছরের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয় শামিমার। ২০১৯ সালে সে আবার ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তা খারিজ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার।
এরপরেই শামিমাকে নিয়ে তথ্যচিত্র বানায় বিবিসি। অভিযোগ, দশ পর্বের সেই ধারাবাহিকে ‘সহানুভূতি’ র সঙ্গে দেখানো হয়েছে শামিমার জীবনের কথা। কিন্তু শামিমার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে নারাজ ব্রিটেনের নাগরিকদের একাংশ। তাঁরা সরাসরি বিবিসির উদ্দেশে তোপ দেগে জানিয়েছেন, এমন চলতে থাকলে তাঁরা নতুন করে বিবিসির সাবস্ক্রিপশন নবীকরণ করবেন না। এক জন ‘জঙ্গি’ কে কেন ‘আক্রান্ত’ হিসাবে দেখানো হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের একাংশের দাবি, পরেও বহু সাক্ষাৎকারে চরমপন্থার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে শামিমাকে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেও বিতর্কের মুখে পড়েছিল বিবিসি। গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকাকে তুলে ধরার দাবি জানালেও এই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে ভারতের ভাবমূর্তি খাটো করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। এ বার নিজেদের দেশ ব্রিটেনেই ক্ষোভের মুখে পড়ল বিবিসি।