পাকিস্তানের নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছেন মানবাধিকারকর্মী গুলালাই ইসমাইল।
দেশটির উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে যৌন নিপীড়ন ও সেনাবাহিনীর হাতে গুমের বিরুদ্ধে কথা বলে তিনি রোষানলে পড়েছেন ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর। ৪ মাস আত্মগোপনে থাকার পর প্রাণ বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন ৩২ বছরের ওই নারী।
গুলালাই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি শুধু পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থাকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।
পাকিস্তানের ইতিহাসের বেশির ভাগ সময়ই ক্ষমতার ক্রীড়ানকের ভূমিকা পালন করেছে সেনাবাহিনী। ওয়াশিংটনে গুলালাই বলেন, ‘আমি কখনোই পাকিস্তান ত্যাগ করতে চাইনি। আমি গণতন্ত্র, বেসামরিক শাসন ও শান্তির জন্য ভালো কাজ করতে চাই।’ পাকিস্তানের কারাগারে পচার চেয়ে বিদেশে থেকে নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়াকে উত্তম মনে করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাকে যদি কারাগারে রেখে দীর্ঘদিন নির্যাতন চালানো হত, তাহলে আমার প্রতিবাদী কণ্ঠ নিস্তব্ধ হয়ে যেত।’
২০০২ সালে কিশোরী বয়সে গুলালাই গড়ে তোলেন ‘অ্যাওয়ার গার্লস’ নামের একটি সংগঠন। এটি রক্ষণশীল অঞ্চল খাইবার পাখতুনখাওয়ার সমাজে গেঁথে থাকা লিঙ্গবৈষম্য দূর করার কাজে নিয়োজিত।