‘বিশ্বভারতী সোনার ডিম দেওয়া হাঁস, সেই ডিমে আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিক ও প্রাক্তনীদের আগ্রহ’, বুধবারের কাঁচমন্দিরে সাপ্তাহিক উপাসনায় এমনই খোঁচা দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
বুধবারের মন্দিরে প্রস্তাবনা করতে গিয়ে আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের আক্রমণ করা তাঁর প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগেও আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের রাবীন্দ্রিক বলে কটাক্ষ করার পর, এবার বাঙালির আবেগকে খোঁচা মারলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মন্দিরে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্কে দু-এক কথা বলার পরই তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। সাপ্তাহিক মন্দির এখন তাঁর সেই পরাচিত প্ল্যাটফর্ম। উপাচার্য নিজেই আক্ষেপ করে বলেন, সিংহভাগ মানুষ এই সাপ্তাহিক মন্দির অনুষ্ঠানে আসেন না। উপস্থিতির ঘটনাটি সত্যি হলেও, অধ্যাত্মিকতা বাদ দিয়ে অনেকেই সাত সকালে এই সমস্ত কু-সমালোচনা শুনতে চান না।
এদিনের মন্দিরে বাঙালির আবেগকে আক্রমণ করতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, হলফ করে বলতে পারি। কাউকে দু:খ দেওয়ার জন্য বলছি না, আগের রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক ও প্রাক্তনী, আর আজকের দিনে রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক ও প্রাক্তনী এক নয়। আজকের দিনে তার বলে বিকৃত অর্থ আমাদের কাছে পৌঁছেছে। ২০২০ সালের ২০ অগাস্ট এই আবেগে অসামাজিকদের তাণ্ডব নৃত্যে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী তোরণ ও দেওয়াল ভেঙ্গে দেয়। আবেগ তাড়িত হয়ে আমরা অন্যায় করি। এই আবেগে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ লুকিয়ে আছে। এর মধ্যে লুকিয়ে আছে বিশ্বভারতীকে না ভালোবাসার প্রকাশ। আজ বিশ্বভারতীতে প্রতাটি শব্দে লুকিয়ে আছে বিকৃত অর্থ। আমাদের বিশ্বভারতী সোনার ডিম দেওয়া হাঁস। আমরা সবাই সোনার ডিমের অংশ চাই। কিন্তু সেই ডিম দেওয়া হাঁসকে লালন পালন করতে চাই না। তিনি বলেন, সোনার ডিমের প্রতি আমাদের আগ্রহ আছে। কিন্তু বিশ্বভারতীকে লালন পালন করার আবেগ নেই। বিশ্বভারতী থেকে কতটা পেতে পারি, তাতেই আমার আগ্রহ।