শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য আলাদাভাবে রান্না হচ্ছে চিকেন লেগ পিস, সরু চালের ভাত। পড়ুয়াদের জন্য মিড- ডে মিলের সরকারি চালের ভাত ও চিকেনের বাকি অংশ রান্না হচ্ছে। স্কুলের মিড- ডে মিলের রাঁধুনিরাই নিয়মিত আলাদা ভাবে শিক্ষকদের জন্য রান্না করে আসছেন। এমনকি পড়ুয়াদের ফল খাওয়ানোর নির্দেশ থাকলেও মাত্র একদিন কুল খাওয়ানো হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই গ্রামের বাসিন্দারা সতর্ক করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে।
বুধবার ফের একই চিত্র ধরা পড়ে মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃত কলোনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এদিন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য আলাদা ভাবে রান্না হতেই স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিবাবকেরা। শুধু তাই নয়, ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবিতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অফিস ঘরে তালাবন্দি করে রাখ গ্রামবাসীরা।
এদিন সকাল ১১টা থেকে শিক্ষকদের ঘরে বন্দি রেখে বিক্ষোভ শুরু হয়। শিক্ষকদের জন্য আলাদা ভাবে রান্নার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মিড-ডে মিলের রাঁধুনিরা। যদিও এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি বিক্ষোভে বন্দি থাকা প্রধান শিক্ষক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়ে পড়ে গোটা লক্ষ্মীপুর কলোনি এলাকা জুড়ে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মিড-ডে মিলের রান্না পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু এই স্কুলের শিক্ষকেরা নিজেদের জন্য রান্না করছেন। এমনকি স্কুলে মোট পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ২৫০ জন। তবে মিড- ডে মিলের তালিকায় ৩০০ জন দেখানো হয় বলে অভিযোগ। স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য শৌচাগার থাকলেও বন্ধ করে রাখা হয়। শৌচাগারের জন্য পড়ুয়াদের বাড়ি যেতে হয়। অপরদিকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য স্কুলে লক্ষ টাকা ব্যয় করে আধুনিক শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। স্কুলে পানীয় জলের সুব্যবস্থা নেই। একটি জলাধার তৈরি হলেও তা অকেজো হয়ে পড়েছে। পড়ুয়াদের কথা না ভেবে প্রধান শিক্ষক থেকে অনান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেদের বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে স্কুলে। তারই প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নিখিল সিংহ বলেন, গ্রামের বাসিন্দারা আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। চিকেনের লেগ পিস থেকে ভালো ভালো মাংস শিক্ষকেরা নিজেদের জন্য রেখে দিচ্ছেন। বাকি ছাঁট মাংস পড়ুয়াদের দিচ্ছে। এই নিয়ে স্কুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আমি এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে স্কুলের এসআইকে ফোন করি। উনি ফোন ধরেননি।