শ্রদ্ধা ওয়ালকার কাণ্ডের ছায়া যেন দেশের সর্বত্র। কোথায় প্রেমিকাকে মেরে ফ্রিজে রেখে দিচ্ছে দেহ, তো কোথাও খুন করে লিভ-ইন পার্টনারের বডি রাখা ডিভানে। পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দিল্লির যে মহিলার দেহ রাস্তার ধারে একটি রেস্তোরাঁর ফ্রিজে পাওয়া গিয়েছিল, তাঁকে ডেটা ক্যাবল দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে তাঁর লিভ-ইন পার্টনার। অন্যদিকে, মুম্বইয়ের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে ৩৭ বছর বয়সী এক তরুণীরে তার লিভ-ইন পার্টনার খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর হার্দিক শাহ মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা থেকে পালানোর চেষ্টা করলেও রেল পুলিস তাকে গ্রেফতার করে।
বছর ২৪-এর সাহিল গেহলট প্রেমিকাকে খুন করে তার দেহ লোপাটের চেষ্টা করে। নিক্কি যাদব (২৩) নামে এক তরুণীর সঙ্গে বচসা হয় সাহিলের। পরে তাকে খুন করে নিজেদের পারিবারিক ধাবার ফ্রিজে ভরে রাখে সাহিল। সূত্রের খবর, যে গাড়িতে নিক্কি যাদবকে খুন করা হয়েছে সেই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাকে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এমনকী অভিযোগ, ২৪ বছরের ফার্মা গ্র্যাজুয়েট সাহিল খুনের দিন অন্য এক মহিলাকে বিয়েও করে। নিক্কি অনেক দেরিতে জানতে পারে যে সাহিল অন্য এক মহিলার সঙ্গে এনগেজমেন্ট করেছে।
নিক্কি যাদব নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিস সাহিলকে খুঁজে বের করে। নিক্কি প্রতিবেশী জানান, নিখোঁজ হওয়া নিক্কির বাড়ি হরিয়ানার ঝজ্জরে। এদিকে, ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে ঢোকার সময় যে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, সেখানেই সম্ভবত শেষবার তাঁকে জীবিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে, মুম্বইয়ের ঘটনায় হার্দিক বেকার ছিলেন। আর মেঘা নামে তার প্রেমিকা পেশায় নার্স সংসারের খরচ চালাতেন। পুলিস জানিয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো, যার জেরেই এই খুন।
এদিন মেঘাকে খুন করার পর তার দেহ খাটের ডিভানে ঢুকিয়ে রেখে ঘরের কিছু জিনিস বিক্রি করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় হার্দিক। ট্রেনে করে পালানোর খবর পেয়ে পুলিস মধ্যপ্রদেশের নাগদা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। প্রসঙ্গত, তিন বছর ধরে সম্পর্ক থাকা হার্দিক ও মেঘা গত ছ’মাস ধরে একসঙ্গে থাকতেন। প্রায় মাসখানেক আগে তাঁরা ওই ভাড়া বাড়িতে চলে আসেন। পুলিস আরও জানিয়েছে, তাদের প্রতিবেশীরাও বলেছেন প্রায়শই ঝগড়া করতেন ওই যুগল।