বাজার মন্দা, সবজির দর নেই, অভিমানে ট্রাক্টর দিয়ে ফসল নষ্ট করলেন ঝালদার পুস্তি অঞ্চলের হেঁসলা গ্রামের এক কৃষক। ঝালদা থানার পুস্তি অঞ্চলের অধিকাংশই কৃষিজীবী। এখানকার কৃষকরা সবজি উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এবার ফলন ভালো হয়েছে। শীতকালীন সবজির দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। বাজার মন্দা। এতে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। অভিমানে হেঁসলা গ্রামের কৃষক দেবেন কুইরি নিজের বাঁধাকপি চাষ করা জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে সমস্ত বাঁধাকপি নষ্ট করে দিলেন।
গ্রামের দেবেনবাবু ছাড়াও কৃষক মনীন্দ্রনাথ কুইরি, ধনঞ্জয় কুইরি ও সনৎকুমার কুইরি জানান, একটা বাঁধাকপি তৈরী হতে খরচ পরে ৩-৪ টাকা কিন্তু সেই বাঁধাকপি ৩ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে না। শুধু বাঁধাকপি নয়, ফুলকপি, লাউ, শিম, বেগুন, টমেটো ছাড়াও শীতকালীন সবজির সঠিক দাম পাচ্ছি না। ঋণ নিয়ে চাষ করেছি। এই অবস্থায় কীভাবে ঋণ শোধ করব? কীভাবে সংসার ও ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাবো তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছি। সরকার সাহায্যের হাত বাড়ালে ভালো হয়।”
সারা বছরই মরসুমি সবজি চাষ হয় ভালই। জলের দরেই সেই সবজি ফড়েদের দিয়ে আড়ৎদারদের কাছে চলে যায়। দাবি উঠছে হিমঘরের। হিমঘর থাকলে কৃষকরা নিজেরাই সেখানে সবজি রাখতে পারতেন এবং মরসুমের পর বেশি দাম পেতে পারতেন। কিন্তু হিমঘরের পরিকল্পনা কোনও নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের মাথায় নেই, উদ্যোগ নেই প্রশাসনেরও।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকেই দুষলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তিনি বলেন, “সঠিক পরিকল্পনা ও ভাবনা ছাড়াই কৃষক মান্ডি করেছে রাজ্য সরকার। অথচ, এই এলাকায় সবজির হিমঘর না থাকায় কৃষকরা উদ্বৃত্ত ফসল
মাঠে নষ্ট করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আমি অবিলম্বে ঝালদা বাঘমুন্ডিতে হিমঘর গড়ার দাবি জানাচ্ছি।”