পণ না দেওয়ায় মারধর করে ঘরে আটকে অসুস্থ করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই মৃত্যু হল গৃহবধূর। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগার বনগাঁ থানার কুটিবাড়ি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই বধূর নাম মাম্পি মণ্ডল (১৮)। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী ও তার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মাত্র দুই মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিল বনগাঁর কুঠিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মাম্পি বিশ্বাস ঘাটবাউর এলাকার বাসিন্দা শুভম বিশ্বাসের সঙ্গে। বনগাঁর দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মাম্পি। মাম্পির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য অত্যাচার করা হতো মাম্পিকে। প্রায়ই সে বাপের বাড়ি চলে আসতো।
এবিষয়ে মাম্পির বাবা অসীম মন্ডল বলেন, বিয়ে হয়েছে আজ দুমাস হতে গেল, মাঝেমধ্যেই আমার মেয়েকে ওরা মারধর করতো, টাকা জন্য চাপ দিত। মাম্পির সমস্ত গয়না ওরা বিক্রি করে দিয়েছে। এমনকি কন্যাশ্রী রুপোশ্রীর টাকাও মাম্পির অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নিয়েছিল। তারপর প্রায় মাম্পিকে খেতে দিত না শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
শনিবার মাম্পি হঠাৎ তার বাবাকে ফোন করে বলে আমি অসুস্থ আমাকে বাড়ি নিয়ে যাও। খবর পেয়ে মাম্পির বাবা ছুটে যায়। মাম্পিকে নিয়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন জানতে পারে দু’দিন ধরে তার উপরে শারীরিক অত্যাচার করেছে তার পরবিবার। ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিল।
মাম্পির মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই, উত্তেজিত প্রতিবেশী শুভম বিশ্বাসের বাড়ি ভাঙ্গচুর করে। এর পর মাম্পির বাবা বনগাঁ থানায় শুভম বিশ্বাস এবং মুক্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বনগাঁ থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।