আদিবাসী সংগঠনের অবরোধের জেরে রাজ্যের ৩ জেলায় থমকে গেল ট্রেনের চাকা। শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-টাটানগর শাখায় খেমাশুলি স্টেশনের কাছে অবরোধ করে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান’। মালদা এবং পুরুলিয়া জেলাতেও এই আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে। আদিনা রেল স্টেশনে শুরু হয়েছে রেল রোকো। এর ফলে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সারনা ধর্মের কোর্ট চালু-সহ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম মোট পাঁচ রাজ্যে অনির্দিষ্টকাল বনধের ডাক দিয়েছে ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান’। সেই মোতাবেক শনিবার সকাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলির কাছে রেলপথ অবরোধ করে ওই আদিবাসী সংগঠন। রেলপথের পাশাপাশি, কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও অবরোধ চলছে। রেলের খড়্গপুর ডিভিশনে ইতিমধ্যেই টাটানগর স্টিল এক্সপ্রেস, টাটানগর প্যাসেঞ্জার, খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার, টিটলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন বাতিল করেছে।
মালদহে রেল অবরোধের জেরে সামসি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে শতাব্দী এক্সপ্রেস। কুমারগ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে কুলিক এক্সপ্রেস। একলাখি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে তেভাগা এক্সপ্রেস। মালদা স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে গৌড় এক্সপ্রেস।
পুরুলিয়ায় আদিবাসীদের মারাংবুরু অর্থাৎ পরেশনাথ পাহাড়কে জৈন ধর্মের মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে তা পুনরায় আদিবাসীদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া ও সারনা ধর্মের কোড চালুর দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য রেল অবরোধের ডাক আগেই দেওয়া হয়েছিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের তরফে। সেই মোতাবেক আজ সকাল থেকে পুরুলিয়া-চান্ডিল শাখার কাঁটাডি রেল স্টেশনে ১২ ঘণ্টার জন্য রেল অবরোধ শুরু করেছে তারা। যার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়েছে। গন্তব্যস্থলে যেতে না পেরে বেকায়দায় পড়েছেন বহু যাত্রী। রেল অবরোধের সঙ্গে সড়কপথেও অবরোধ চলছে। পুরুলিয়া-জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। খেমাশুলি স্টেশনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলেছেন রেলের আধিকারিকেরা। তাঁরা দ্রুত অবরোধ তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।