খুনের পর মিক্সিতে শ্রদ্ধার হাড় গুঁড়ো করেছিল আফতাব, তারপর অর্ডার দেয় চিকেন রোল

খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকারের হাড় মিক্সিতে গুঁড়ো করে রাস্তায় ছড়িয়ে দিয়েছিল আফতাব আমিন। তারপর অর্ডার দিয়েছিল চিকেন রোল। দিল্লি পুলিশ ৬৬০০ পাতার যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, সেখানে গা শিউরে ওঠার মতো সব তথ্যই উঠে এসেছে।

জানা যাচ্ছে আফতাব শ্রদ্ধাকে খুন করার পর, তাঁর হাড় স্টোন গ্রাইন্ডারে (একপ্রকারের মিক্সার) গুঁড়িয়ে, পাওডার বানিয়ে রাস্তায় ছড়িয়েছিল। আফতাব লাশের টুকরোগুলিকে পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিসকে। এখানেই শেষ নয়, আফতাব ওভাবে খুন করার পর জোমাটো থেকে চিকেন রোল এনে ডিনার করেছিল ওই রাতে।

আফতাব-শ্রদ্ধা দু’জনেই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। আফতাব ওয়াসি অঞ্চলে থাকে। পেশায় ফুড ব্লগার। ভাই আহাদ পুনাওয়ালার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু পেজ চালাত। ইনস্টাগ্রামে রয়েছে ‘হাংগ্রি চক্র’ বলে এক ইনস্টাগ্রাম ফুড ব্লগ অ্যাকাউন্ট। আফতাব-শ্রদ্ধার কাজের সূত্রেই মুম্বইতে আলাপ হয়েছিল। কিন্তু দুই বাড়ি থেকে এই সম্পর্কে সম্মত্তি ছিল না। এরপর আফতাব-শ্রদ্ধা দিল্লির ছত্তরপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে।

শ্রদ্ধা যখন বিয়ের জন্য আফতাবকে জোরাজুরি করতে থাকেন, তখনই রাগের মাথায় আফতাব চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। শ্রদ্ধার বাবার থেকে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়েই মুম্বই পুলিস যোগাযোগ করে দিল্লি পুলিসের সঙ্গে। গতবছর ২২ মে আফতাব-শ্রদ্ধার মধ্যে বিয়ে সংক্রান্ত কারণেই ঝগড়া বেঁধেছিল। এরপর আফতাবের নৃশংসতার শিকার হন শ্রদ্ধা। আফতাব ছুরি হাতে শ্রদ্ধার ৩৫ টুকরো করে ফেলে। এরপর বাড়িতে একটি ফ্রিজ নিয়ে এসে দেহের টুকরোগুলি ঢুকিয়ে রাখে। এরপর আফতাব পরের ১৮ দিন রাতের অন্ধকারে, দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দেয়।

শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব। ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে। এমনকি জেরায় আফতাব এও কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই ‘কিমা’ করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.