এবার দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) থেকে উঠলে টানা পাতালপথেই যাওয়া যাবে। শুধুমাত্র একটি স্টেশনে নেমে মেট্রো বদল করতে হবে। এভাবেই দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ (Kavi Subhash) হয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত টানা মেট্রো পথের কথা জানাল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। দু’দিকের দুই লাইনের সংযোগকারী স্টেশন হচ্ছে নিউ গড়িয়া অর্থাৎ কবি সুভাষ। এটিই দু’দিকের মেট্রোপথের কমন পয়েন্ট (Common Point)।
নিউ গড়িয়া সংযোগকারী স্টেশন হওয়ায় আরও একটি সুবিধা হবে। এই মেট্রো স্টেশনটি নিউ গড়িয়া (New Garia) রেল স্টেশনের পাশে। ফলে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা থেকে যাত্রীরা এসে এই স্টেশনে নেমে পাশে নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন থেকে রুবিগামী মেট্রো ধরতে পারবেন। নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার পাতালপথ পেরতে খুব বেশি সময়ও লাগবে না। এই রুটটি চালুর জন্য রেলওয়ে সেফটি কমিশনের অনুমতি মিলেছে। চলতি মাসেই শুরু হতে পারে এই পরিষেবা। এদিকে অনেক হাসপাতাল-সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে। সেখানে সহজে যেতে পারবেন যাত্রীরা।
মেট্রোরেলের তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (CPRO) কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশনে রুবি মোড় যাওয়ার যাত্রীদের জন্য আলাদা টিকিট কাউন্টার থাকবে। তবে নিউ গড়িয়ায় নেমে রুবি মোড়গামী মেট্রোয় ওঠার জন্য আলাদা করে টিকিট কাটার দরকার নেই। এক্ষেত্রে ‘ইন্টিগ্রেটেড টিকিট সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে নিউ গড়িয়া-রুবি মোড়ের মেট্রোপথ রাজারহাট পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। তখন একেবারে দক্ষিণেশ্বর থেকে রাজারহাট পর্যন্ত একটানা যাওয়া যাবে।
নিউ গড়িয়া স্টেশনকে সংযোগকারী হিসেবে গড়ে তুলতে বেশ কিছু ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নতুন করে এসকেলেটর, লিফট, ক্যাপসুল লিফট তৈরি হচ্ছে। ২২ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে নতুন করে। প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য ১৬ টি গেট বসানো হচ্ছে। এছাড়া দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের জন্য আলাদা শৌচালয়, বসার বেঞ্চ, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড থাকবে। এছাড়া সৌন্দর্যায়নের কথা মাথায় রেখে দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের মতো এখানকার দেওয়ালে নানা ধরনের চিত্র আঁকা হবে। এমনই জানা গিয়েছে মেট্রো রেল সূত্রে।