তুরস্কের ভয়াবহ ভুমিকম্পের (Turkey Earthquake) জেরে আটকে পড়েছেন অন্তত ১০ ভারতীয়। সেই সঙ্গে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর। ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। সেই সঙ্গে তুরস্কে কন্ট্রোল রুমও খুলেছে ভারত। প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পের জেরে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ২০০। ‘অপারেশন দোস্ত’ (Operation Dost)-এর মাধ্যমের তুরস্কের উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভারত। প্রসঙ্গত, বুধবারই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্ডোগান।
বিদেশমন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় ভার্মা জানিয়েছেন, “১০ জন ভারতীয় তুরস্কে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছেন। তবে জানা গিয়েছে তাঁরা সকলে নিরাপদে রয়েছেন। বেঙ্গালুরু নিবাসী এক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসার কাজে তুরস্কে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।” সঞ্জয় আরও জানিয়েছেন, তুরস্কের আদানায় ভারতীয়দের জন্য বিশেষ কন্ট্রোলরুম চালু করেছে বিদেশমন্ত্রক।
বিপর্যস্ত দেশের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই ভারতের দু’টি উদ্ধারকারী দল তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশে গিয়ে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে। ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দিজি জানিয়েছেন, “সব মিলিয়ে ১০১ সদস্যের দল পাঠানো হয়েছে তুরস্কে। আরও ৫১ জনকে নিয়ে তৃতীয় উদ্ধারকারী দল বুধবারেই রওনা দেবে। আরও বেশ কয়েকটি দলকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে, কারণ পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ফলে উদ্ধারকারী দলও বাড়াতে হতে পারে।”
তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই সিরিয়া ও তুরস্ক মিলিয়ে ১১ হাজার ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তিনহাজারেরও বেশি বাড়ি। বিশ্বের একাধিক দেশের তরফে সাহায্য পাঠানো হয়েছে তুরস্কে। সিরিয়ার জন্য ওষুধ পাঠিয়েছে ভারত। ভূমিকম্পের পরেই তুরস্কের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই কথা মাথায় রেখেই শুরু হয়েছে অপারেশন দোস্ত। উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভারত।