জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতারাইস বলেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারত তার মৌলিক অংশীদার এবং এই কাজের জন্য দুর্দান্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গুতারাইস বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সোলার অ্যালায়েন্সে মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন এবং জাতিসংঘে ভারত প্রদত্ত ১৯৩ সোলার প্যানেলকে ‘অত্যন্ত কার্যকর’ বলে বর্ণনা করেছেন। জানিয়ে দি, আজকেরদিনে দাঁড়িয়ে পুরো বিশ্বে যখন গাছের সংখ্যা কমছে তখন ভারত ও চীন এই দুটি দেশে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের জনগণ সচেতনার সাথে পরিবেশ রক্ষার কাজে এগিয়ে যাচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জন করে শালপাতা, মাটির পাত্র ইত্যাদির ব্যাবহার বৃদ্ধি করছে। এতে পরিবেশ রক্ষার সাথে সাথে স্বাস্থ্য রক্ষা এবং কর্মসংস্থান রক্ষার কাজও হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভারত যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে সে সম্পর্কে গুতারাইস বলেছেন, “সৌর শক্তি খাতে ভারত বিশাল বিনিয়োগ করেছে।” ভারতে এখনও প্রচুর পরিমাণে কয়লা রয়েছে এবং আমরা তা নিয়েও আলোচনা করেছি। মোদী অন্যান্য নতুন পদক্ষেপও নিয়েছেন যেমন স্বচ্ছ ভারত অভিযান। আমরা বিশ্বাস করি এবং আমরা আশা করি যে ভারত আরও পদক্ষেপ নেবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এটি ভারতের প্রগতিশীল পারফরম্যান্সের উপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলবে। ‘ ২৩ শে সেপ্টেম্বর উচ্চ-স্তরের জলবায়ু কর্ম সম্মেলন সভায় অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন গুতারাস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চেম্বারে অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ সম্মেলনে মোদী প্রথম বক্তা ছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ্যাডর্ন, মার্শাল দ্বীপের রাষ্ট্রপতি হিলদা হেইন এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেলও বক্তব্য রেখেছিলেন। তিনি বললেন যে এ ক্ষেত্রে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং এটি এমন একটি দেশ যার একটি জটিল ঐতিহ্য রয়েছে, কারণ সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, ভারত এই আলোচনার মৌলিক অংশীদার এবং অবশ্যই এই সংলাপটি তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টা এবং জাতিসংঘকে পরিবেশগতভাবে তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার একটি অংশ।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন যে, “সোলার পার্কে ভারতের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” এছাড়া অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে ভারত একটি বড় কয়লা উৎপাদনকারী দেশ, তবে এটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে ‘উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা’ করছে এবং এর রেখাঙ্কিত করারও দরকার আছে। পারমাণবিক শক্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে কার্বন নিঃসরণ দূর করতে পারমাণবিক শক্তি কিছু দেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এবং জাতিসংঘের সেই দেশগুলির বিকল্পগুলির সম্মান করা উচিত।
জাতিসংঘের প্রধান বলেছেন, “আমি যখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে কথা বলছিলাম তখন তিনি অনেক গুলি জিনিসের মধ্যে অন্যতম যেটা করতে চেয়েছিলেন সেটা হলো পারমাণবিক শক্তি যোগ করা।” এটি এমন একটি বিষয় যার আমরা শ্রদ্ধা করি। “ভারতের পক্ষ থেকে এই জাতীয় প্রতীকী উদ্যোগের প্রথম হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ যাত্রাকালে ৫০ কিলোওয়াট ক্ষমতার‘ গান্ধী সোলার পার্ক ’উদ্বোধন করবেন। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের আলোচনার বাইরে যাওয়ার ভারতের ইচ্ছাশক্তিকে রেখাঙ্কিত করে।