Turkey-Syria Earthquake: মৃত্যুর মাঝেই নতুন প্রাণের স্পন্দন, ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে উদ্ধার নবজাতক

 তুরস্ক (Turkey) সিরিয়া (Syria) ভূমিকম্পের কারণে ধ্বংসযজ্ঞ এবং ব্যাপক মৃত্যুর গল্প বিশ্বজুড়ে মানুষকে হতবাক করেছে। এরই মাঝে বেরিয়ে এসেছে বেঁচে থাকার এক অবিশ্বাস্য গল্প। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় একটি ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা সত্ত্বেও এক নবজাত শিশু প্রাণঘাতী ভূমিকম্প থেকে বেঁচে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নবজাতক মেয়েটির এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পরপরই তার মা সন্তান প্রসব করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের পর এক ব্যক্তিকে শিশুটিকে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার জিন্দারিস (Jindayris) নামক একটি শহরের একটি ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচে শিশুটিকে পাওয়া গেছে।

তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্প

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোগান (Tayyip Erdogan) মঙ্গলবার দুটি ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তুরস্কে প্রায় ৭০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এরদোগান তুরস্কের ১০টি প্রদেশকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন এবং সেখানে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন। এটি সরকারকে নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংসদকে বাইপাস করতে এবং মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা সীমিত বা স্থগিত করার অনুমতি দেবে।

এরদোগানকে আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেছেন যে সরকার শক্তিশালী ভূমিকম্প দ্বারা প্রভাবিত লোকদের অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য আন্টালিয়ার (Antalya) পর্যটন কেন্দ্রে হোটেল খুলবে।

ভূমিকম্পটি প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতেও আঘাত করেছিল। সেখানে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১,৭১২। সিরিয়ার কর্তৃপক্ষের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণে হামা (Hama) পর্যন্ত মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহরগুলোতেও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

ত্রাণ কর্মকর্তারা সিরিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সিরিয়া এমন একটি দেশ যা ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ বছরের গৃহযুদ্ধের পরে মানবিক সংকটে আক্রান্ত।

শীতের মাঝামাঝি তাপমাত্রা এবং তুষারঝড়ের মতো প্রতিকূল অবস্থা উদ্ধারকাজকে অতিরিক্ত কঠিন করে তুলেছে এবং আশ্রয় ছাড়া বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

ইউরোপের জন্য ডব্লিউএইচওর (WHO) সিনিয়র জরুরি কর্মকর্তা (senior emergency officer for Europe) ক্যাথরিন স্মলউড (Catherine Smallwood)  জানিয়েছেন, এই অবস্থায় শ্বাস প্রশ্বাসে ছড়িয়ে পরা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.