১৯০০ ছাড়াল প্রাণহানি, আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা, সন্ধ্যায় আবার কাঁপল তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত

যে দিকে চোখ যায়, শুধুই ধ্বংসের ছবি। চার দিকে কান্নার রোল পড়ে গিয়েছে। উপচে পড়ছে মৃতদেহ। ভূকম্পনে তুরস্ক এবং সিরিয়ার ছবিটা ঠিক এরকমই। এমন ধ্বংসলীলার মধ্যেই আবার কেঁপে উঠল তুরস্ক এবং সিরিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই নিয়ে ৩ বার কম্পন অনুভূত হল দুই দেশে। রিখটার স্কেলে তৃতীয় ভূমিকম্পের তীব্রতা ৬। তুরস্কের পাশাপাশি ভূকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়াও। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯০৪ জন।

তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১২১ জনে। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৭৮৩ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছেন অনেকে। মৃত্যুর পাশাপাশি জখম হয়েছেন বহু।

সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টে ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪.১ কিলোমিটার গভীরে। এর প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আবার শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় তুরস্কে। সে বার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৫।

১৯৩৯ সালের পর তুরস্কে এই প্রথম এত শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হল। ইউএসজিএস জানিয়েছে, সে বছরও তুরস্কে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৮। এরজিনকান প্রদেশে ভূমিকম্পে সে বার ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ৭ কম্পাঙ্কের ভূকম্প গত ২৫ বছরে ৭ বার অনুভূত হয়েছে তুরস্কে।

কম্পনের জেরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। চার দিকে শুধুই ধ্বংসের ছবি। হাসপাতালগুলিতে ভিড় বাড়ছে জখমদের। সিরিয়া এবং তুরস্ককে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বিভিন্ন দেশ। ভারতের তরফেও উদ্ধারকারী এবং চিকিৎসকদের দল পাঠানো হচ্ছে। সাহায্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.