২০১৬-য় কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট-ই হয়নি! প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় নাটকীয় মোড়

প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। পর্ষদের হলফনামা থেকে এটা স্পষ্ট যে প্রাথমিকের ২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। ইন্টারভিউ আর অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট-কে একত্র করে একটা গড় নম্বর দেওয়া হয়েছে। মন্তব্য বিচারপতির অভিজিৎ গাঙ্গুলির। তাই এবার ইন্টারভিউয়ার অর্থাৎ যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪-র টেটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে যে নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়, সেই নিয়োগপ্রক্রিয়ার ইন্টারভিউয়ারদেরই তলব বিচারপতির। ৫ জেলার বেশ কয়েকজন ইন্টারভিউয়ারকে তলব করেছেন বিচারপতি। হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন ইন্টারভিউয়ারকে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন। রূদ্ধদ্বার এজলাসেই হবে জিজ্ঞাসাবাদ। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা ছাড়া আর কেউ থাকবেন না এজলাসে।

ওদিকে এদিন ফের আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই। নবম-দশম মামলায় সিবিআই-কে প্রশ্ন বিচারপতির। চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যারা টাকা দিয়েছেন এবং নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যারা এই OMR Sheet বিকৃত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা ? যে ব্যক্তির OMR Sheet বিকৃত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা? এদিন আদালতে সিবিআইকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান, কেমন করে সিবিআই তদন্ত করবে, সেটার উপদেশ কেন আদালতকে বারবার দিতে হবে? যে বা যারা টাকা পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে সিবিআই-এর এই ঢিলেঢালা মনোভাব কেন? এই ৬ বছরে তো অনেকে টাকা পাচার করে দিয়েছে! তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কেন করছে না সিবিআই? তোপ দাগেন, ‘কিছু সুবিধাভোগীকে গ্রেফতার করছেন, চার্জশট পেশ করছেন, বাকি সুবিধাভোগীদের ছেড়ে রেখেছেন! এরকম কেন?’ সিবিআই কে উদ্দেশ করে কড়া মন্তব্য বিচারপতির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.