বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর তিতকুমার গ্রামের ভারতী মোড় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের দাবি, মৃত্যু হয়েছে একজনের। জখম আরও দু’জন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শুরু জোর রাজনৈতিক তরজা।
স্থানীয়দের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর তিতকুমার গ্রামের ভারতী মোড় এলাকার বাসিন্দা মণিরুল খানের বাড়ি থেকে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিকট শব্দ পাওয়ামাত্রই এলাকাবাসী বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। দৌড়ে যান ঘটনাস্থলে। দেখেন বেশ কয়েকজন জখম অবস্থায় এদিক সেদিক পড়ে রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাসন্তী থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। জখম তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দু’জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের চোটও বেশ গুরুতর বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গ্রামে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, শনিবার সকালে ক্যানিং থানার গোলাবাড়ি বাজার এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার রাতেই। স্থানীয় ব্লক সভাপতি শানু এবং ইটখোলা অঞ্চল উপপ্রধান খতিব সর্দারের অনুগামীদের মধ্যে বোমাবাজি শুরু হয়। চলে গুলিও। শনিবার সকালে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় তাজা বোমা। স্থানীয় লোকজন ক্যানিং থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা উদ্ধার করে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বোমা বিস্ফোরণ এবং বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা। এই দু’টি ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি রয়েছে বলেই দাবি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “বাংলা বোমা, বারুদের জায়গা নয়। তৃণমূল কংগ্রেস হিংসায় বিশ্বাসী নয়।” তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “খবর নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। গ্রেপ্তার হবে সে বিষয়ে বিশ্বাস আছে। রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার জন্য বোমা রাখা হয়েছে। মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ ভাল কাজ করছে।”