লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (এলআইসি) এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) মতো বড় ঋণদাতাদের আদানিকে দেওয়া ঋণ সীমা ছাড়ায়নি। আদানি গোষ্ঠী বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও তাদের দুই প্রধান আর্থিক সহায়ক এলআইসি এবং এসবিআই নিয়ে বিপদের সম্ভাবনা নেই। বিপদ নেই ভারতীয় অর্থনীতির উপরেও। শুক্রবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “বড় ঋণদাতা সংস্থাগুলি আদানি গোষ্ঠীকে অতিরিক্ত মাত্রায় ঋণ দেয়নি। সংস্থাগুলির তরফে আদানিদের অনুমোদিত সীমার মধ্যেই ঋণ দেওয়া হয়েছে এবং সংস্থাগুলি নিয়ে আশঙ্কা তৈরির কোনও কারণ নেই।’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘ভারত আগের মতোই আছে। খুব ভাল শাসক এবং স্থিতিশীল সরকার রয়েছে দেশে। অর্থনীতিও আগের থেকে নিয়ন্ত্রিত এবং চাঙ্গা।’’
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ধস নেমেছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। তাই শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি এলআইসি বা এসবিআই থেকে আদানির ঋণ নেওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসতে তা নিয়েও বিভিন্ন জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আদানিদের বহু শিল্পে এসবিআই এবং এলআইসির বিনিয়োগ থাকার কারণেই তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
ব্যাপক ঋণের ভারে নুয়ে পড়ে বা কারচুপি করার কারণে এর আগেও বিভিন্ন সংস্থাকে দেউলিয়া হতে দেখা গিয়েছে। ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে নীরব মোদী এবং বিজয় মাল্যের মতো ব্যবসায়ীকেও দেশ ছাড়তে দেখেছে সাধারণ মানুষ। তাই এ বার আদানিদের কারচুপির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেও একই ভয় ধরেছিল অনেক বিনিয়োগকারীর মনে। যদিও এলআইসি এবং এসবিআই—উভয় সংস্থা বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল যে, আদানিদের শেয়ার বাজারে পতনের আঁচ তাদের গায়ে এসে লাগেনি। সংস্থাগুলির লাভেও প্রভাব পড়েনি বলেই জানানো হয়েছিল। শুক্রবার সেই সংশয় আরও খানিকটা দূর করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।