আপনার সন্তান কি স্কুলে অন্যদের নিয়ে হাসিঠাট্টা, মজা করে? অন্যদের চেহারা নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে? তাহলে অবশ্যই সাবধান হয়ে যান৷ কারণ মনোবিদরা জানাচ্ছেন, বুলিং(bullying) বা তর্জনের অভ্যাস বয়সের সঙ্গে হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক৷ যার প্রভাব পড়ে মানসিক গঠন ও সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে৷
মনোবিদরা জানাচ্ছেন, যাদের মধ্যে ১১ বছর বয়সে এই অভ্যাস দেখা দেয় তারা গোটা বয়ঃসন্ধিতেই এই ধরনের কাজ করে যায়৷ এমনকী, বয়ঃসন্ধির পরেও তাদের মধ্যে নানা ভাবে অন্যদের উত্যক্ত করার এই অভ্যাস থেকে যায়৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ভাবে উত্যক্ত করার প্রবণতা কমতে থাকে৷ কিন্তু মানসিক ভাবে অন্যদের উত্যক্ত করার প্রবণতা বাড়তে দেখা যায়৷
যারা তর্জন করেন বা তর্জিত হন তাদের উভয়ের মধ্যেই ভবিষ্যতে নানা রকম মানসিক সমস্যা দেখা দেয় বলে সতর্ক করছেন মনোবিদরা৷ জার্নাল অফ চাইল্ড ডেভেলপমেন্টে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এই গবেষণার জন্য মনোবিদরা ১১, ১৩, ১৫ ও ১৭ বছর বয়সী ১০০০ জন ভারতীয় কিশোর-কিশোরীকে বেছে নিয়েছিলেন৷ তাদের তর্জনের অভিজ্ঞতা নিয়ে নানা রকম প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়৷ দেখা গিয়েছে এদের মধ্যে ১৫ শতাংশই বয়ঃসন্ধিতে কোনও না কোনও ভাবে এই অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন৷ হয় তারা কাউকে বুলি বা তর্জন করেছেন, নয়তো নিদেরা এর শিকার হয়েছেন৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যারা বয়ঃসন্ধিতেই এর সঙ্গে জড়িয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও নানা ভাবে জড়িতে থেকেছেন তর্জনের সঙ্গে৷