‘বদলির নির্দেশ ছাড়াই ৪ শিক্ষক চিকিৎসককে রিলিজ’! অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এবার নয়া অভিযোগ। ফের বিতর্কে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। স্বাস্থ্য সচিবের দ্বারস্থ হল চিকিৎসকদের সংগঠন।
সরকারি চাকরি যাঁরা করেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাঁদের বদলি করা হয়। চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও এই নিয়মের অন্যথা ঘটেনি। কীভাবে? স্বাস্থ্যভবন থেকে বদলির নির্দেশ আসে। এরপর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীকে রিলিজ করেন হাসপাতালের সুপার। আর যাঁকে বদলি করা হল, তিনি যদি শিক্ষক চিকিৎসক হন, তাহলে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। কিন্তু আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, আরজি করের ৪ শিক্ষক চিকিৎসক স্বাস্থ্য ভবন থেকে বদলির চিঠি পাননি এখনও। অথচ তাঁদের রিলিজ করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ! কেন? চিঠিতে উল্লেখ, ‘হেলথ সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশ ওই ৪ চিকিৎসকে রিলিজ করা হয়েছে’। চেয়ারম্য়ান সুদীপ্ত রায়ের আবার দাবি, ‘এটা ঠিক রিলিজ নয়। সাময়িকভাবে টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞের কাজ করবেন ওই ৪ জন’!
চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা জি ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন, ‘HRBO এভাবে লোক চাইতে পারে না। কোনও মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালও এভাবে নিজের অর্ডারে শিক্ষক চিকিৎসককে রিলিজ করতে পারেন না’। তাঁর মতে, ‘দু’জনেই এক্তিয়ার বর্হিভূত কাজ করেছেন। এটা হতে পারে যে. হেলথ সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের কোনও শিক্ষক বা স্বাস্থ্যকর্মী দরকার। স্বাস্থ্যসচিব বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তাঁরা অর্ডার করবেন, কোন কলেজ থেকে কে যাবেন’। গোটা বিষয়টি জানিয়ে স্বাস্থ্যসচিকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বিতর্ক জড়িয়েছিলেন এর আগেও। কেন? ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহার ব্য়বহার করা যেতে পারে, এমন দুটি ওষুধ বা ড্রাগের ক্নিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে আরজি করের এথিক্স কমিটি। কিন্তু অধ্যক্ষ অনুমোদন না মেলায় এখনও ট্রায়াল শুরু করা যায়নি বলে অভিযোগ। ফলে বিনামূল্য ওষুধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্যানসার রোগীরা।