নিজের মেয়েকেই প্রতিদিন ধর্ষণ করত বাবা। তার জেরে অন্তঃস্বত্বাও হয়ে পড়ে কিশোরী। সেই ঘটনাতেই অভিযুক্ত বাবা তথা মাদ্রাসা শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল কেরলের আদালত।
সোমবার কেরলের একটি আদালত অভিযুক্তকে একসঙ্গে তিন তিনবার যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছে। জীবিত অবস্থায় যাতে ওই ব্যক্তি আর মুক্তি না পান, তা নিশ্চিত করতেই এমন শাস্তি দিয়েছেন মঞ্জেরি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক।
ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ থেকে শুরু করে হুমকির মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক৷ এ ছাড়াও পকসো আইনেও দোষীর শাস্তি হয়েছে৷ পাশাপাশি অভিযুক্তকে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকারও বেশি জরিমানা করা হয়েছে৷
এই মামলার সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রথমবার বাবার হাতে ধর্ষিতা হতে হয় ওই কিশোরীকে৷ সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না৷ জানা গিয়েছে, কোভিড অতিমারির কারণে বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করতে হত ওই কিশোরীকে৷ একদিন বাড়িতেই একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ১৫ বছর বয়সি কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার বাবা৷ বাধা দিলে তার মাকে সে খুন করবে বলে কিশোরীকে ভয় দেখায় তার বাবা৷