বিবিসি-র তথ্যচিত্র তৈরিতে টাকা ঢেলেছে চিন। উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বদনাম করা। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রবীণ আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে মার্কিন ম্যাগাজিনের একটি খবরের লিঙ্কও শেয়ার করেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চিনের সংস্থা হাওয়াইয়ের সঙ্গে কীভাবে চুক্তি হয়েছিল বিবিসির।
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, বিবিসি কেন ভারত বিরোধী হয়ে উঠল, সেটা বোঝার সময় এসেছে। আসলে বিবিসির অর্থের দরকার ছিল। চিন সেই টাকা দিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে, চিন ভারতের বদনাম করার শর্তেই বিবিসিকে অর্থ সাহায্য করেছে। বিবিসির তথ্যচিত্র সম্পর্কে মুখ খুলে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য অভিযোগ করেছেন, ভারতের উন্নয়নের গতি রুদ্ধ করতেই এই চক্রান্ত করা হয়।
একাধিকবার ভারত সংক্রান্ত ভুল তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিসি, এমনটাই দাবি আইনজীবী জেঠমালানির। অপর একটি টুইটে তিনি বলেন, ‘২০২১ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরকে বাদ দিয়েই ভারতের মানচিত্র প্রকাশ করত ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা। তারপর ভারত সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়ে মানচিত্র পালটায় তারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করে এই তথ্যচিত্র বানানোটাও ভারত বিদ্বেষের একটা লক্ষণ’।
প্রথম থেকেই বিবিসির তথ্যচিত্রের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। গোটা দেশে তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে অশান্তি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হবে। কিন্তু এই মামলার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তাঁর মতে এই মামলা আসলে শীর্ষ আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করবে।