বেআইনি নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হয়েছে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। এরপর থেকেই জেরায় প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে যে, কুন্তল নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কুন্তল এক মহিলা তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে খরচ করেছিলেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই সন্দেহের আঙুল যায় তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডলের উপর। একাধিক সূত্রে দাবি করা হয় কুন্তল সুজাতার প্রচারে দুর্নীতির টাকা ‘কাজে লাগিয়েছিল’। যদিও, সুজাতা মণ্ডল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই মামলায় ইডি এখনও তদন্ত জারি রেখেছে বলে খবর।
সুজাতার দিকে সন্দেহের আঙুল ওঠে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্যের পরেই। তিনি বলেন, “হুগলি জেলার প্রতিটি বিধানসভাতেই কুন্তলের মতো দুর্নীতিগ্রস্তদের টাকা খেটেছে। ইডি তদন্ত করলেই জানতে পারবে তৃণমূল টাকাটা কোন-কোন প্রার্থীদের দিয়েছিল। কয়লার টাকা, চাকরির টাকাতেই এই নির্বাচন হয়েছে। এই চক্রান্তের মূল কাণ্ডারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাইপো কখনও সাংসদকে বলেছেন তুমি টাকাটা দিয়ে দিও। কখনও আবার বিনয় মিশ্রকে বলেছেন। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই দুর্নীতিতে যুক্ত। ইডি তদন্ত করলেই জানতে পারবে। কোর্ট যদি আমায় ডাকে আমি অবশ্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরব”।
এই প্রসঙ্গে সুজাতা মণ্ডলের বক্তব্য, “একজন জ্যোতিষীর মাধ্যমে তাঁর (কুন্তল) সঙ্গে আমার পরিচয়। আগে চিনতাম না। হুগলিতে দাঁড়ানোর সময় চিনতে পারলাম যে তিনি যুবর একটি পদে ছিলেন। সেই সময় আরও অনেকের সঙ্গেই পরিচয় হয়। কিন্ত একটা ১৮ দিনের সম্পর্কে সে কী পেশার সঙ্গে যুক্ত, কী করে, তা কি কারোর পক্ষে জানা সম্ভব? কুন্তল ঘোষ কেন, আমার ভোটের সময় আমি কাউকেই পাশে পাইনি। এবার কেউ কিছু বলে দিলেই হয় না।