ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারকারীকে গুলি বিএসএফের। পাচারকারী মহম্মদ আলম বাংলাদেশের নাগরিক। তার পায়ে গুলি লেগেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় আলমকে উদ্ধার করে স্থানীয় এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোচবিহারের অশোকবাড়ি এলাকায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে গরুপাচার করছিল ১০ জনের একটা দল। তাদের দেখা মাত্র ধাওয়া করে বিএসএফ। গুলিও চালায়। সেই গুলির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মহম্মদ আলম।
মহম্মদ আলামের বাড়ি বাংলাদেশের লালমনিরহাটে। প্রশ্ন উঠছে, অভিযুক্ত ওই বাংলাদেশের বাসিন্দা কীভাবে ভারতে প্রবেশ করল? গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিএসএফ। প্রাথমিকভাবে অনুমান গরু পাচারের উদ্দেশেই তার সীমান্তে ঘোরাঘুরি করছিল। সন্দেহজনক বুঝেই বিএসএফ গুলি চালায়।
গরু পাচারের কথা নিজেই স্বীকার করেছে মহম্মদ আলম। সে জানায়, ‘আমি বাংলাদেশে পাথরের কাজ করি।’ অভিযুক্ত আলমের দাবি, আগে কখনওই গরু পাচার করেনি সে, এই প্রথমবার এই ‘লাইনে আসি’ বলে দাবি আলমের। সে জানায়, সীমান্তে একটি গরু পাচার করতে পারলে তার দাম ৫ হাজার টাকা মিলবে। সেই লোভেই এই পথ নেয় সে।