সনাতন ধর্মকে ভারতের জাতীয় ধর্ম বলে ঘোষণা করলেন যোগী আদিত্যনাথ।
পৃথিবীর বড় বড় সব ধর্মগুলোরই নিজেদের দেশ আছে। মুসলিম – খ্রিস্টান – বৌদ্ধ – ইহুদী সবার। কিন্তু হিন্দুদের নিজেদের কোনো দেশ নেই। একটা ছিলো নেপাল‚ সেটাও কমিউনিস্টদের ষড়যন্ত্রে আর তৎকালীন ভারত সরকারের অপদার্থতায় বর্তমানে সেকুলার দেশ তো হয়ে গেছেই‚ উপরন্তু জেহাদীদের ভারতে ঢোকার অন্যতম রাস্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে নেপাল। হিন্দুরা প্রকৃতপক্ষে এই মূহুর্তে কাগজে কলমে রাষ্ট্রহীন বললেও ভুল হয় না।
আর সেইজন্যেই সবার দাবি হল সবথেকে বেশি হিন্দুর বাসস্থান হিসাবে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক।
আর বলা যায় যে এই দাবির মান্যতাই এবার শোনা গেল যোগী আদিত্যনাথের কন্ঠে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গতকাল রাজস্থানের ভিনমালে অবস্থিত নীলকান্ত মহাদেব মন্দিরে প্রতিমা পুনরুদ্ধার ও পবিত্রকরণের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সনাতন ধর্ম ভারতের জাতীয় ধর্ম।” একে প্রত্যেক নাগরিকের অবশ্যই সম্মান করা উচিত।
এছাড়াও তিনি অযোধ্যার রাম মন্দির পুনরুদ্ধার আন্দোলনের আদলে অপবিত্র হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলি পুনরুদ্ধার করার জন্যও আহ্বান জানান। তিনি বলেন যে‚ “যদি কোনো সময় আমাদের ধর্মীয় স্থানগুলিকে অপবিত্র করা হয়ে থাকে, তবে তাদের পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচার চালাতে হবে অযোধ্যার আদলে‚ যেখানে ৫০০ বছর পরে ভগবান রামের একটি বিশাল মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে। জাতীয় অনুভূতির প্রতিনিধিত্ব করা ভগবান রামের এই মহান জাতীয় মন্দির নির্মাণে আপনারা সকল ভক্তরা অবদান রেখেছেন।”
তিনি বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমগ্র দেশবাসীকে তাদের ঐতিহ্যকে সম্মান করার এবং এটি সংরক্ষণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ১৪০০ বছর পর প্রভু নীলকান্তের মন্দিরের পুনরুদ্ধারের ঘটনা হল ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও সুরক্ষার উদাহরণ।”
রাজস্থান সম্পর্কে বলার সময় যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন যে‚ “রাজস্থানের ভূমি ধর্ম, কর্ম, ভক্তি এবং শক্তির সমন্বয়ের কেন্দ্রবিন্দু।ধর্মের আসল রহস্য বুঝতে হলে রাজস্থানে আসা প্রয়োজন।”
সনাতন ধর্মকে জাতীয় ধর্ম আখ্যা দেওয়ার ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছে।