রেললাইনের ধারে পড়েছিল বেশ কয়েকটি লাগেজ ব্যাগ। ২৯ টি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল প্রচুর সংখ্যক কচ্ছপ। ট্রেন থেকে এই ব্যাগগুলি ফেলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়।
প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাগগুলি পড়ে থাকতে দেখেন।
ব্যাগ খুলে তারা কচ্ছপ দেখতে পান। বাসিন্দাদের অনেকেই সেই কচ্ছপ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেন। খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে কচ্ছপগুলোকে উদ্ধার করে দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ ও আরপিএফ। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলি বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পাচারের আগেই বর্ধমানে ফের বিপুল পরিমাণে কচ্ছপ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৭৫২ টি কচ্ছপ।তালিত ও খানা জংশনের মাঝে ২৯ টি ব্যাগ ভর্তি ৭৫২ টি কচ্ছপ উদ্ধার করে দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ ও বর্ধমান আরপিএফ।
পুলিশ ও আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে তালিত ও খানা জংশনের মাঝে ব্লক সেকশন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে লাগেজ ব্যাগ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ব্যাগগুলিকে বেশ কয়েকজন গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারাই খবর দেয় দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশকে।
পরে সেখানে আসে বর্ধমান আরপিএফ-ও।পুলিশকে দেখে পাচারকারীরা চম্পট দিলেও দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ উদ্ধার করে ২২ টি ব্যাগ, যাতে প্রায় ৫৬৮ টি কচ্ছপ ছিলো। অন্যদিকে আরপিএফ-ও উদ্ধার করে ৭ টি ব্যাগ,যাতে প্রায় ১৮৪ টি কচ্ছপ ছিলো।
তবে কোথা থেকে এই কচ্ছপ নিয়ে আসা হচ্ছিল, কেন সেগুলিকে লাগেজ ব্যাগে ভরা হয়েছিল, কোথায় পাচারের উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণে কচ্ছপ নিয়ে আসা হচ্ছিলো তা স্পষ্ট নয়।
পুলিশ সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উদ্ধার হওয়া ৭৫২ টি কচ্ছপই দেওয়ান দিঘী থানার পুলিশ ও আরপিএফের তরফে বর্ধমান বনবিভাগ কে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে এর আগেও ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকবার কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এভাবে রেল লাইনের ধারে কচ্ছপ উদ্ধার এই প্রথম।