বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে সারারাত ধরে উড়লো জাতীয় পতাকা, ঘটনা ঘিরে ব্যাপক শোরগোল

বৃহস্পতিবার দেশের ৭৪তম সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সারা দেশের সাথে সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের ১২ নম্বর বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে সকালেই উত্তোলন করা হয়েছিল দেশের তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা। নিয়মানুযায়ী সূর্যাস্তের আগেই জাতীয় পতাকা নামানোর কথা থাকলেও বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে অন্ধকারে সারারাত ধরে উড়লো দেশের গর্বের প্রতীক তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা। গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে রাতের অন্ধকারে সারারাত জাতীয় পতাকা উড়তে থাকার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার সকালেই প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রায়গঞ্জের বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্য এবং কর্মীরা। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ছুটি থাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান সেরে গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সকলেই অফিস তালাবন্ধ করে বাড়ি চলে যান। সূর্যাস্তের আগেই জাতীয় পতাকা নামানোর কথা গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের কর্মীরা বেমালুম ভুলে যান বলে অভিযোগ। ফলে অন্ধকারে সারারাত গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে উড়তে থাকে দেশের জাতীয় পতাকা।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভবানন্দ বর্মন জানিয়েছেন, তারা যথাযথ সন্মানের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে তা নামানোও হয়। বিজেপি চক্রান্ত করে রাতের বেলাতে আবার জাতীয় পতাকা এবং তাদের দলীয় পতাকা তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বদনাম করার চেষ্টা করছে।

যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা নেতা তথা বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা মানিক বর্মন জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস দেশের সন্মান করে না, জাতীয় পতাকার সন্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে জানে না। ওরা নিজেরাই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সারারাত রেখে দিয়েছিল। বিজেপি দেশকে সন্মান করতে জানে। গ্রামপঞ্চায়েত অফিস তালাবন্ধ থাকায় গ্রামের বাসিন্দারাও জাতীয় পতাকাটিকে নামাতে পারেননি। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়৷

যদিও শুক্রবার সকালে জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেন গ্রামপঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। ১২ নম্বর বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান জগদীশ চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, সন্মানের সঙ্গেই পঞ্চায়েত অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং নামানো হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.