বিগত কয়েক বছরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হয়েছিল দু’বছর। ২০২১ সালে এবং তারও বছর পাঁচেক আগে, ২০১৬ সালে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল চলছে ২০১৬-য় নেওয়া ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের নিয়ে। সে-বছর কোথায় কারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির কাছে এ বার সেই তথ্য চেয়ে পাঠাল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই সংস্থার উপসচিব পার্থ কর্মকার জানান, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ওই ব্যক্তিদের টেলিফোন নম্বর-সহ সবিস্তার তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট এই ব্যাপারে সম্প্রতি একটি নির্দেশ দিয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
অচিন্ত্য সামন্ত নামে প্রাথমিক শিক্ষকপদের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘‘প্রথম দফার ইন্টারভিউয়ে শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর কোনও পরীক্ষাই হয়নি। অথচ অনেকেই তাতে পুরো নম্বর পেয়েছিলেন। এই গোলমাল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।’’ ২০১৬ সালের পরে ২০২১-এ ফের ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ১৬,৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। তবে দু’দফার ইন্টারভিউয়ে পার্থক্য ছিল। প্রথম দফায় ইন্টারভিউ হয়েছিল জেলাভিত্তিক এবং তার আয়োজন করা হয়েছিল জেলা সংসদের অফিসেই। ২০২১-এ ইন্টারভিউ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে।
২০১৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকপদে যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষা (টেট)-র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৫ সালে সেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। ইন্টারভিউ হয়েছিল ২০১৬-য়। তার ভিত্তিতে ৪২,৯৪৯ জনকে নিয়োগ করা হয়। রাজ্য জুড়ে সেই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মামলাও চলছে। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।