নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈরথ যেন থামছেই না। উপাচার্যের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার মাঝেই জমি ফেরানোর দাবিতে পুরনো নথি-সহ চিঠি পাঠাল বিশ্বভারতী (Vishva Bharati)কর্তৃপক্ষ। যত দ্রুত সম্ভব, ‘দখল’ করা জমি ফেরানোর দাবি করা হয়েছে সেই চিঠিতে। ফলে এ নিয়ে জটিলতা বাড়ল আরও।
শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র পিছনে খানিকটা জমি নিয়ে জটিলতার সূত্রপাত। বিশ্বভারতীর দাবি, ১.২৫ একর জমির বদলে ১.৩৮ একর জমি রয়েছে বাড়িটি ঘিরে। অতিরিক্ত ১৩ ডেসিমেল জমি বেআইনিভাবে দখল করা বলে অভিযোগ। এ নিয়ে জমির নথি-সহ ২০০৬ সাল থেকে অমর্ত্য সেনকে চিঠি দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর তরফে। কর্তৃপক্ষর দাবি, ওই ১৩ ডেসিমেল জমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। তাই তা ফিরিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ সেই সময় থেকে বিশ্বভারতীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের একটা দ্বৈরথ তৈরি হচ্ছিল।
এবারও গত ২৪ জানুয়ারি তাঁকে জমি ফেরতের জন্য চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে নোবেলজয়ীর প্রতিক্রিয়া ছিল, এ নিয়ে তিনি আর আইনি জটিলতায় যেতে চান না। নিয়ম মেনে যা করার, তাই করবেন। তার ঠিক ২ দিনের মধ্যেই ফের জমি ফেরানোয় কার্যত চাপ দিয়ে শুক্রবার আরও একটি চিঠি পাঠানো হয় বিশ্বভারতীর তরফে। তাতে ২০০৬ সালের পুরনো চিঠিটিও জুড়ে দেওয়া রয়েছে। আর তাকেই আরও অবমাননাকর বলে মনে করছে নোবেলজয়ীর অনুরাগীদের একাংশ।
এরই মধ্যে অমর্ত্য সেনের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করে বসেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘অমর্ত্য সেন আসলে নোবেল লরিয়েট নন। উনি নোবেল প্রাইজ় পাননি। উনি নিজেই দাবি করেন, নোবেল প্রাইজ় পেয়েছেন।’’ এনিয়ে বিতর্ক শুরু হতে না হতেই ফের চিঠি প্রসঙ্গে জল গড়াল আরও দূরে।