আপাতদৃষ্টিতে একেবারে নিরামিশ ম্যাচ। কারণ বাংলা (Bengal) গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আগেই চলতি রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2022-23) নক আউটে চলে গিয়েছে। অন্যদিকে ওডিশার (Odisha) পক্ষে পরের রাউন্ডে যাওয়া সম্ভব নয়। তবুও এমন ম্যাচে ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) ফের একবার ব্যাটিং ভরাডুবির সামনে বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে পাশের রাজ্যের তিন জোরে বোলার বাংলাকে ফলো-অন করালেন। যদিও লজ্জার ফলো-অন হজম করার পরেও, দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াইয়ে ফিরল মনোজ তিওয়ারির (Manoj Tiwary) দল। সৌজন্যে অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran), খোদ বঙ্গ অধিনায়ক ও সুদীপ ঘরামির (Sudip Kumar Gharami) ইনিংস।
এটা আবার বিপক্ষের এক নম্বর বোলার অভিজ্ঞ বসন্ত মোহান্তির (Basant Mohanty) শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। তিনি প্রথম ইনিংসে নিলেন ২৩ রানে ১ উইকেট। তবে তাঁর মঞ্চে আগুনে জোরে বোলিং করলেন অন্য দুই পেসার সুনীল রাউল (৩/১৯) এবং সূর্যকান্ত প্রধান (৩/৪৫)। ফলে মাত্র ১০০ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলা। ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ফলে ব্যাট করতে পারেননি রুকু। প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রান করার সুবাদে ওডিশা ১৬৫ রানে এগিয়ে ছিল। স্বভাবতই বঙ্গব্রিগেডকে ফলো-অন করিয়ে দেন অধিনায়ক শুভ্রাংশু সেনাপতি।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বিপক্ষের রান টপকে গিয়েছে বাংলা। যদিও ফের ব্যর্থ ওপেনার করণ লাল। এবারও তাঁকে ফেরালেন বসন্ত। যদিও দ্বিতীয় উইকেটে সুদীপকে সঙ্গে নিয়ে ৮২ রান যোগ করেন অভিমন্যু। ১১১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫০ রানে ফিরে যান সুদীপ। রান পাননি শুভঙ্কর বল ৪ রানে আউট হলেন। তিনি আউট হওয়ার সময় বাংলার স্কোর ছিল ১১৭ রানে ৩ উইকেট। এরপর দলের হাল ধরেন ধরলেন অভিমন্যু ও মনোজ। চতুর্থ উইকেটে দু’জন ইতিমধ্যে ১০৩ রান যোগ করে ফেলেছেন। অভিমন্যু ১৫৬ বলে ৯৪ ও মনোজ ৯৩ বলে ৫০ রানে অপরাজিত আছেন। ফলে তৃতীয় দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলে, ৫৫ রানের লিড পেয়েছে বঙ্গব্রিগেড।
এমন অবস্থায় শেষ দিন লক্ষ্মী রতন শুক্লার দল কোন ছকে মাঠে নামে সেটাই দেখার। দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ধীরেসুস্থে ক্রিজে সময় কাটাবেন? নাকি দ্রুত রান তুলে ওডিশাকে অল আউট করে সরাসরি ম্যাচ জেতার চেষ্টা করা হবে? শেষদিন যে ইডেনের বাইশ গজে জমজমাট থ্রিলার অপেক্ষা করছে। সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।