রবিবার সবার চোখ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে। অনাবাসী ভারতীয়দের সভায় বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়া এবং দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার পর এই প্রথম এত বড় আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভাষণ দেবেন মোদী। তার আগে ভারতীয় সময় রবিবার সকালে হিউস্টনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংগঠন। সেই স্মারকলিপির ছত্রে ছত্রে ঘরে ফেরার আর্জি। আর প্রধানমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিলেন, কাশ্মীরকে আবার স্বর্গ বানাব। ঘরে ফেরাব আপনাদের সবাইকে।
ক্ষমতায় এলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘরে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি ছিল সেই চোদ্দর ভোটে। কিন্তু নানান ঘটনায় বোঝা গিয়েছে, সে সবের বাস্তব পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি উপত্যকায়। দ্বিতীয়বার সরকারে আসার তিন মাসের মধ্যেই কাশ্মীর নিয়ে বড় পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। তুলে দেওয়া হয় ৩৭০ ধারা।
গ্লোবাল কাশ্মীরি পণ্ডিত অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মোদীর কাছে আর্জি জানানো হয়, এ বার অন্তত তাঁদের ভিটেতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক। সংগঠনের তরফে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এক প্রতিনিধি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাশ্মীরকে নতুন করে গড়ছি। সন্ত্রাসের নড়ক থেকে ফের স্বর্গ বানাব উপত্যকাকে।”
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ভাবে আশ্বাস দিয়েছেন, তাতে তাঁরা আশাবাদী। যে ভাবে তিনি কাশ্মীরকে নতুন করে গড়তে সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন, তাঁরাও মোদীর সঙ্গেই আছেন বলেই জানিয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের আন্তর্জাতিক সংগঠন।
স্মারকলিপিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা মোদীকে জানিয়েছেন, তাঁরা চান নিজদের ভিটেতে ফিরতে। একই সঙ্গে চান যাতে কাশ্মীরে বহুত্ববাদ, ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় থাকে।