ক্যালিফোর্নিয়ায় চিনা নববর্ষের উৎসবে হামলার পর আবার বন্দুকবাজের দৌরাত্ম্য আমেরিকায়। তিনটি পৃথক হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ন’জনের।
আমেরিকার আইওয়া প্রদেশের ডেস মোইনেস শহরের একটি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সোমবার আচমকাই হানা দেন বন্দুকবাজেরা। স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন দুই ছাত্র-সহ তিন জন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসা চলাকালীন ওই দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় শিক্ষকের চিকিৎসা চলছে।
ডেস মোইনেস পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তাঁরা নাবালক কি না, স্পষ্ট নয় তা-ও।
ঘটনার পর স্কুল থেকে পালিয়ে যান দুষ্কৃতীরা। ওই বন্দুকবাজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শহরের রাস্তায় একটি গাড়ি আটক করা হয়। সেখান থেকে তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্কুলে হামলার নেপথ্যে তাঁদের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
অন্য দিকে, উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার হাফ মুন বে শহরে পৃথক দুটি হামলায় মৃত্যু হয়েছে মোট সাত জনের। আহত আরও অনেকে। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতেই ক্যালিফোর্নিয়াতে অনুরূপ হামলা হয়। ৭২ বছর বয়সি এক বন্দুকবাজ মন্টেরে পার্কে চিনা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালান। তাঁর গুলিতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অনেকে। পরে পুলিশ ঘিরে ফেললে নিজের শরীরে গুলি করে আত্মঘাতী হন অভিযুক্ত। তার পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আরও তিন হামলার খবর প্রকাশ্যে এল।