লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করল দিন ও রাতের তাপমাত্রা। শীতের সমস্ত আমেজ উধাও। আগামী পাঁচ থেকে সাত দিনে আরও বাড়বে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। এছাড়াও সপ্তাহভর শুষ্ক আবহাওয়া দেখা যাবে। শীতের আমেজ প্রায় সম্পূর্ণ গায়েব হবে বলে জানা গিয়েছে। উষ্ণ সরস্বতী পুজোর পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘন কুয়াশায় চাদরে ঢাকা কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ।
দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় চার ডিগ্রি উপরে। আগামী দুই থেকে তিন দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও সকালের দিকে কুয়াশার চাদরে ঢাকবে দক্ষিণবঙ্গ।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী দুই থেকে তিন দিন একই রকম আবহাওয়া থাকবে। পরের দুই তিন দিনে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়বে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পাস করার সময় দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর পার্বত্য এলাকায় এবং সিকিমে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় দিনে এবং রাতে উধাও শীতের আমেজ । বৃহস্পতিবার অর্থাৎ সরস্বতী পুজো এবার কার্যত উষ্ণ হতে চলেছে। ঘাম ঝড়বে সরস্বতী পুজোর দুপুরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়ি ডিগ্রির কাছাকাছি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি চলে যাবে প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতী পুজোয়।
মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৯ ডিগ্রি থেকে বেড়ে ১৮.৭ ডিগ্রি হবে। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি থেকে বেড়ে ২৮.৭ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৪ শতাংশ। বৃষ্টিপাত হয়নি, গত ২৪ ঘন্টায়।
রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। নতুন করে শুক্রবার আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের সক্রিয় ঝঞ্ঝা ক্রমশ পূর্বদিকে সরবে এবং আরব সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকবে এর টানে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এর সক্রিয়তা বজায় থাকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে।
হালকা বৃষ্টি হতে পারে আগামী ২৪ ঘন্টায় পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি এবং তুষারপাত হতে পারে জম্মু ও কাশ্মীর, মুজাফফরাবাদ এবং হিমাচল প্রদেশে মঙ্গল ও বুধবার। বুধ ও বৃহস্পতিবার উত্তরখণ্ডে তুষারপাত ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন কুয়াশা থাকবে আগামী ২৪ ঘন্টায় হিমাচল প্রদেশ বিহার এবং ওড়িশাতে।