জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ৮৭তম জেলা অ্যাথেলেটিক্স প্রতিযোগিতা সাফল্যের সঙ্গে শেষ হল। করোনা মহামারীর পর এত বেশি সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিল যা রাজ্যের অন্য জেলাকে টেক্কা দিল। অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ২৫০ জন মহিলা প্রতিযোগী অংশ নেয় এবার। মোট ৫৫০ জন প্রতিযোগী অংশ নিলেন।
প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে সাফল্যের সঙ্গে এবারের জেলা অ্যাথেলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হল। জেলা ক্রীড়া সংস্থা মানভূম স্পোর্ট্স অ্যাসোশিয়েশন আয়োজিত এই ক্রীড়া আসরে যদিও এবার ১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাব যোগ দেয়। ৫ জন মহিলা সহ মোট ৫৫ জন অফিসিয়াল, ১০ জন স্বেচ্ছাসেবকের প্রচেষ্টায় তিন দিনের এই প্রতিযোগিতা সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা হয়। এমএসএ ময়দানে আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় উৎসাহের সঙ্গে ৮টি গ্রুপে ৬২টি ইভেন্টে প্রতিযোগীরা অংশ নেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাথেলেটিক সমিতির সম্পাদক গৌতম চট্টোপাধ্যায়, সংগঠক নির্মল নন্দী জানান, ‘জেলার প্রতিভাবানদের খোঁজে এই প্রতিযোগিতার জন্য মুখিয়ে থাকেন সংগঠক ও প্রতিযোগীরাও। কারণ প্রতিযোগিরা, তাঁদের প্রতিভা জেলা স্তরে উপস্থাপিত করতে পারেন। এই ধরনের প্রতিযোগিতা থেকেই উঠে এসেছেন রাজ্য ও জাতীয় স্তরের অ্যাথেলেটিক। কাজেই এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আরও বেশি করে।’ করোনা প্রকোপে দমিয়ে রাখতে পারে নি খেলার মাঠের ছেলে মেয়েদের। এবারের জেলা ক্রীড়া সংস্থার এই প্রতিযোগিতা তারই প্রমাণ দিল বলে জানান এম এস এ’র অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক পার্থ মুখার্জি।