একটা দল চ্যাম্পিয়ন একবার। দু’বার ব্রোঞ্জ জয়ী। এবারের বিশ্বকাপে অপরাজিত। দু’টো ম্যাচ জিতেছে। একটা ড্র করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে। শুধু তাই নয়, বিশ্ব র্যাঙ্কিং ছয়।
অপর দল বিশ্বকাপের (Hockey World Cup) ইতিহাসে কোনওদিন সেমিফাইনালে যেতে পারেনি। শুধু তাই নয়, ওড়িশা বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগের খেলায় তারা তৃতীয় স্থানে থাকা দল। হেরেছে দু’টি, জিতেছে কেবলমাত্র একটা ম্যাচ। বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১২।
উপরোক্ত দু’টি দলের মধ্যে প্রথমটি ভারত, দ্বিতীয়টি নিউজিল্যান্ড। তবু নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে চিন্তায় রয়েছে গ্রাহাম রিডের দল। কেন? প্রথম কারণ যদি হয়, হার্দিক সিংয়ের অনুপস্থিতি। অন্যটি হল ফরোয়ার্ডদের গোল করার ক্ষেত্রে সুবিধে করতে না পারা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন। সেই চোট গুরুতর হওয়ায় হার্দিকের পক্ষে এবার বিশ্বকাপে আর খেলা সম্ভব নয়। হকি ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে একথা শনিবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হার্দিক না থাকা মানে আক্রমণ অনেকটা ভোঁতা হয়ে যাওয়া। ওয়েলসের বিপক্ষে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্পেন বা ইংল্যান্ড ওয়েলসের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে পাঁচ গোলের ব্যবধানে জিতেছে। সেখানে ভারত জিতল কেবলমাত্র চার গোলে। তাও একটা সময় ২-২ হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া রক্ষণ প্রথম দু’টো ম্যাচে গোল খায়নি। কিন্তু ওয়েলসের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে খেয়ে বসল দু’টো গোল। সুতরাং হার্দিকের থাকা না থাকার মধ্যে একটা পার্থক্য থেকে যাচ্ছে।
নেতিবাচক দিক এইগুলো হলে ইতিবাচক দিক হল, পেনাল্টি কর্নার থেকে ভারতের সঙ্গে হরমনপ্রীতের প্রথম গোল পাওয়া। তাছাড়া এই স্টেডিয়ামে গতবছর প্রো-লিগের খেলায় দু’বার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারত। নিউজিল্যান্ড যে এখানে খুব ভাল খেলছে তাও নয়। নেদারল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে। মালয়েশিয়ার কাছে হেরে বসে। রবিবার জিততে হলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে মনদীপ সিং, আকাশদীপ সিং, হরমনপ্রীতদের। ভারতীয় দলের কোচ গ্রাহাম রিড জানিয়ে দিয়েছেন, ম্যাচ জেতাটা মোটেই সহজ হবে না। “রবিবারের ম্যাচটা মোটেই সহজ হবে না। নিজেদের সেরা খেলাটা তুলে ধরতে হবে।” বলেছেন রিড।