মুসলিমরা ভারতে দ্বিতীয় সংখ্যা গুরু। তাদের সংখ্যা লঘু বলে মনে করে না ভারতীয় জনতা পার্টি। শনিবার দুর্গাপুরে বিজেপির দুদিনের কার্যকারণী বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায় মুসলিমদের সংখ্যালঘু বলে ভোটব্যাঙ্ক বানিয়ে রাখার রাজনীতি করার দিন এবার শেষ হওয়া উচিত।
ওরা( মুসলিমরা) ভারতবর্ষে দ্বিতীয় সংখ্যাগুরু। হিন্দুদের পরেই ওরা রয়েছে। বিজেপি সংখ্যালঘু ধারণার বিরোধী। শনিবার দুর্গাপুরে এভাবেই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক প্রসঙ্গের বিরোধীতায় সরব হন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু সমাজের মন পেতে চাই না। আমরা পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের মন পেতে চাই। আমরা এই সংখ্যালঘু কনসেপটের বিরোধী।” তাঁর বক্তব্য, “সবাই ভারত মাতার সন্তান তার আবার সংখ্যাগুরু কী? সংখ্যালঘু কী? সুকান্ত মজুমদার বলেন, এ প্রশ্নের মধ্যেই সন্দেহ লুকিয়ে রয়েছে। সংখ্যালঘু বলতে যাদের বোঝাতে চাওয়া হচ্ছে তারা হচ্ছে মুসলিম সমাজ। তারা ভারতবর্ষের দ্বিতীয় সংখ্যাগুরু সমাজ। তিনি মনে করিয়ে দেন, “জৈন, শিখ, ইরানিদের যদি অনুপাত দেখেন তাহলে তাদের তুলনায় মুসলিম সমাজের সংখ্যা অনেক বেশি।” তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০% মুসলিম সমাজের মানুষ বাস করেন। হিন্দুদের পর তারাই সংখ্যাগুরু। তাই তাদের সংখ্যালঘু বলে উন্নয়ন থেকে দূরে রাখা, তাদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করার মতো রাজনীতিতে বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপি সমাজের যেকোনো পিছিয়ে পড়া অংশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে তাদের সমাজের মূল স্রোতে আনার চেষ্টা করবে।