পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল তৈরি করতে দুর্গাপুরে কার্যকারিনী বৈঠক রাজ্য বিজেপির

পঞ্চায়েত ভোটের রূপরেখা তৈরি করতে শুক্রবার থেকে বিজেপির দু’দিনের কার্যকারিনী বৈঠক শুরু হয়েছে দুর্গাপুরে। কার্যকারিনীতে উপস্থিত আছেন বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে সহ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। রয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক সাংসদ, বিধায়করা।

বিকেল থেকে প্রাথমিক বৈঠকের পর রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, সর্ব ভারতীয় মুখপাত্র রাজু বিস্তা প্রমুখ।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সংগঠনকে মজবুত করতে ৩-৪ মাস অন্তর কার্যকারিনী বৈঠক হয়। সেটাই হচ্ছে। বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয় থাকছে।”

প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর একপ্রকার ছন্নছাড়া অবস্থায় ছিল বঙ্গ বিজেপি। আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দলের নেতৃত্বকে সেভাবে পাশে না পাওয়ায় ক্ষোভ ফুঁসছিল নীচুতলার কর্মীরা। তারপর আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কিভাবে মোকাবিলা করবে কত প্রার্থী দিতে পারবে প্রশ্ন করা হলে শমিক ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের লক্ষ্য মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করা। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে তৃণমূলের অত্যাচারের হাত থেকে পরিত্রাণ দেওয়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেবো। তবে এবারে তৃণমূল সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না।” শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনের পর ৫৬ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে। ৮ হাজার বিজেপিকর্মী ঘরছাড়া। বহুকর্মীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, জেসিবি দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে। সংখ্যালঘু কর্মীদের ওপর বিজেপি করার অপরাধে আক্রমণ হয়েছে। আক্রান্তদের বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি। তাই আমরা যেতে পারিনি। তাই নিয়ে অসন্তোষ আছে। সেই যন্ত্রনাকে বুকে আঁকড়ে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরী হয়েছে। গত ২০১৯ সালের লোকসভায় অনেকে বলেছিল ২০১৯ বিজেপি ফিনিস। তবুও রাজ্যে ১৮ টা সিট পেয়েছিলাম। বিজেপি নিজের গতিতে আছে। নিজের শৃঙ্খলা বিক্রি করেনি। জন্মলগ্ন থেকে একই কথা বলছে। আগামী ২০২৪ লোকসভায় ২৪ পর বিজেপির জয়ের সংখ্যার গননা থাকবে। অর্থাৎ ২৪ র বেশী আসন পাবে।”

উত্তরবঙ্গের বিভাজন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য করেছিলেন, বিভাজন হলে উত্তরবঙ্গের মানুষ খাবে কি। সেপ্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায়

প্রদেশ মুখপাত্র রাজু বিস্তা বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষ ভিখারি নয়। আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচে। রাজ্যের ৮০ হাজার কোটি রাজস্ব আদায় হলে, ২০ হাজার কোটি উত্তরবঙ্গ থেকে আসে। উত্তরবঙ্গের মানুষ স্বাধীন ভারতে বাস করে। কোনও হিটলারি স্বৈরাচারী রাজ্যে বাস করে না। বার বার উত্তরবঙ্গের মানুষকে মুখ্যমন্ত্রীর এই অপমান বরদাস্ত করবে না। তার জবাব দেবে।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.