২৪-এ ধামাকা, রামমন্দিরের সঙ্গে ইসকন মন্দির! মোদীকে কৃষ্ণনগর লোকসভা উপহার দেওয়ার ঘোষণা সুকান্তর

পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গেছে। তবে এই পঞ্চায়েত ভোটের সাথেই লোকসভা ভোটের প্রচারও শুরু করে দিল দিল্লি বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৪৪ টি বিধানসভা আসনকে চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র। আজ সেই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকেই বিজেপি সভাপতি প্রচার শুরু করলেন। এদিন বেথুয়াডহরিতে সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আজকের সভা থেকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রটি ২৪ এর নির্বাচনে মোদীকে উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

আজকের সভায় দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী সকলের মুখেই শোনা গেল কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের কথা। স্পষ্ট বোঝা গেল ২৪ এর লোকসভার ভোটে এই কেন্দ্রকে তারা পাখির চোখ করেছেন। এই কেন্দ্রের ক্ষেত্রে তাদের অন্যতম হাতিয়ার শাসকদল তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেকার দলাদলি।

এদিন বিজেপি সভাপতি নাড্ডা বলেন, “আপনারাই বলুন লোকসভা ভোটে এখানে পদ্ম ফুটবে কিনা? সমস্ত দুর্নীতি থেকে মুক্তির পথ এই পদ্ম।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “কৃষ্ণনগরের সাংসদ এলাকার সমস্যার কথা সংসদে বলেন না। তাই ২৪ এ সুদে আসলে তার হিসাব নেবে এলাকার মানুষ। আরো একধাপ এগিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, কৃষ্ণনগর লোকসভা এবার মোদীকে উপহার দেব।

কৃষ্ণনগরের শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। কান পাতলেই শোনা যায় বিধায়ক, সংসদের রেষারেষি, বিধায়ক বিধায়কের রেষারেষি, জেলা কমিটির সঙ্গে সাংসদ বিধায়কদের মনোমালিন্য। নভেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রীও এখানে এসে উস্মা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যারা বিধায়ক আছেন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না আর কেউ করলে তাকে আমি পার্টিতে স্থান দেব না। বাড়িতে বসে যান। কাজ করার দরকার নেই। কলকাতার সঙ্গে কার যোগাযোগ আছে আপনার জানার দরকার নেই আমরা মাঠে খুঁজে নেব তাকে।

জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আপনারা একসঙ্গে বসে কাজ করবেন। যখন যে ব্লকে যাবেন সবাইকে ডেকে নেবেন। এটা দেখার দরকার নেই, এটা আমার গ্রুপ ওটা তোমার গ্রুপ। এটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার। এটাকে ভাঙা যাবে না।

সূত্রের খবর, বিজেপি তৃণমূলের এই দলাদলিকেই হাতিয়ার করে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজিমাত করতে চাইছে। এদিন বেথুয়াডহরিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই সমাবেশ দেখেই বোঝা যাচ্ছে কৃষ্ণনগরের সংসদ প্রাক্তন হয়ে যাবেন। আর মাত্র কয়েকটা মাসের অপেক্ষা। এই এলাকার সাংসদ তো সংসদে আপনাদের জন্য কোনও কথা বলেন না। তিনি আমেরিকার কথা বলেন। তিনি জার্মান, রাশিয়া, ইউক্রেনের কথা বলেন, তিনি কৃষ্ণনগরের কথা বলেন না।

সুকান্ত মজুমদার তুলে আনেন মহুয়া মৈত্রের সেই মাকালী বিতর্ক প্রসঙ্গ। তিনি বলেন বদলা নিতে হবে। এবার ২৫ পার কৃষ্ণনগর দিয়ে শুরু হবে। আমরা কথা দিয়েছি কৃষ্ণনগর লোকসভা এবার মোদীজিকে উপহার দেব। ২৪শে ধামাকা দেবো। দুটো মন্দির একসঙ্গে উপহার দেব রামমন্দির এবং ইসকনের মন্দির।

আজ এই জনসভার আগে মায়াপুরে ইসকনের মন্দিরে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানে পুজো দেন তিনি। তারপর জনসভা করেন। এই কৃষ্ণনগর লোকসভার মধ্যেই রয়েছে মায়াপুরের ইসকন মন্দির। তাই সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, দুটো মন্দির একসঙ্গে উপহার দেব রামমন্দির এবং ইসকনের মন্দির, বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.