‘একেনবাবু’র স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে, কী জানানো হল?

 ‘একেনবাবু’র স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকাহত বাংলায় সংস্কৃতি মহল। বুধবার সকালে কলকাতার ফ্ল্যাটে লেখকের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। সার্ভে পার্ক থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় প্রবীণ সাহিত্যিকের দেহ। এদিন বিকেলেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।

sujan 1

শোনা যাচ্ছে, প্রাথমিক এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই সুজন দাশগুপ্তর মৃত্যু হয়েছে। তার মুখে রক্তের দাগও দেখা গিয়েছে বলে খবর। কিন্তু তা কী কারণে, সেই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। বইমেলায় প্রকাশিত হবে ‘একেনবাবু’র ষষ্ঠ খণ্ড। তার জন্যই সুদূর নিউ জার্সি থেকে কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসেছিলেন সুজন দাশগুপ্ত। বিদেশে আর ফেরা হল না তাঁর।

পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সুজন দাশগুপ্তর স্ত্রী শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন। ফলে ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন তিনি। বুধবার সকাল দশটা নাগাদ সুনীতা ঘোষ নামের পরিচারিকা এসে লেখকের ফ্ল্যাটের বেল বাজান। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকিও করেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাননি। বিপদ বুঝে তিনি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকে খবর দেন। নিরাপত্তারক্ষীও দরজা খুলতে ব্যর্থ হন। এরপরই সুজনবাবুর শ্যালক ও স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়।

Sujan

জানা গিয়েছে, পুলিশ আসার আগেই সুজনবাবুর আত্মীয় ও নিরাপত্তারক্ষীরা দরজা ভেঙে ফেলেন। ভিতরে ঢুকে তাঁরা আশি বছরের লেখকের মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখতে পান। শোয়ার ঘরের বাথরুমের বাইরে লেখকের দেহ পড়েছিল। পুলিশ এসে লেখকদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, হৃদরোগের কারণে আচমকা পড়ে গিয়ে হয়তো আঘাত পেয়েছিলেন আশি বছরের লেখক। সেই কারণেই তাঁর মুখে রক্তের দাগ দেখে গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.