জ্বর মাপতে পারবে। ওষুধ খাওয়াতে পারবে। এমনকী গলা থেকে সোয়াবের মতো নমুনাও সংগ্রহ করতে পারবে। এমনকী চাইলে রোগীর প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারবে। এমনই এক যন্ত্র সেবিকা বা রোবট নার্সের যাত্রা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পূর্ব ভারতের হাসপাতালে এমন নার্স রোবটের ব্যবহার এই প্রথম বলেই দাবি করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
javascript:false
বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ পূর্ব ভারতে প্রথম রোবট নার্স পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। একটি বেসরকারি কলেজের পড়ুয়ারা প্রায় দেড় বছরের চেষ্টায় রোবটটি তৈরি করেছে। নেতৃত্বে ছিলেন বিজ্ঞানী ডঃ অঙ্কুশ ঘোষ। অঙ্কুশ জানালেন, রোাবট তৈরিতে খরচ পড়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। আর পাঁচজন সাধারণ নার্সের মতো প্রায় সব কিছুই করতে পারবে যন্ত্রসেবিকা। খাওয়াতে পারবে। ওষুধপত্ দিতে পারবে। মাপতে পারবে জ্বরও। শুধু তাই নয়। ৫ ফুট উচ্চতার ওই রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে হাতিয়ার করে রোগীর নানা প্রশ্নের জবাবও দিতে পারবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইলে রোবট নার্সের মাধ্যমে রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।
আচমকা কেন রোবট নার্স তৈরির পরিকল্পনা? কোভিড কালে দুঃসহ সময়ের কথা উল্লেখ করে ডাঃ অঙ্কুশ ঘোষ জানান, গত ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে কোভিডের মতো সংক্রামক রোগের সাক্ষী আমরা। সেই সময় আক্রান্তের কাছাকাছি কারও পৌঁছনোই বিপজ্জনক ছিল। তবু প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নার্স, চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা করেছেন। যান্ত্রিক নার্সের বন্দোবস্ত করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমত। সেকথা মাথায় রেখেই রোবট নার্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আপাতত মধ্যমগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোবট নার্সের ট্রায়াল রান চলবে। বৃহস্পতিবার রোবট নার্স পরিষেবার উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক রথীন ঘোষ। কলকাতার বড় বড় বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমকে কেন রোবট নার্সের ট্রায়াল রান চলার উপযুক্ত হিসাবে ভাবা গেল না? ডাঃ অঙ্কুশ ঘোষ জানান, রোবট নার্সের ট্রায়াল রান শুরু হলে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগতে থাকেন কর্মীরা। সেকথা মাথায় রেখে সদ্য পথচলা শুরু করা একটি বেসরকারি হাসপাতালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ট্রায়াল রান সফল হলে চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়া দিশা পাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।