হরিয়ানার মাঠে আবার শতরান অনুষ্টুপ মজুমদারের ব্যাটে। ১৩৭ রানে অপরাজিত বাংলার অভিজ্ঞ ব্যাটার। তাঁর ব্যাটে এ দিন রান না এলে বড় বিপদে পড়তে পারত বাংলা। ওপেনার-রোগ এখনও সারেনি বাংলার। ভাল শুরু করেও থেমে গিয়েছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। রান পাননি মনোজ তিওয়ারি। এমন অবস্থায় অনুষ্টুপ রান না পেলে প্রথম দিনের শেষে ৩৩৫ রান উঠত না বাংলার। রঞ্জিতে দ্বাদশ শতরান করে ফেললেন অনুষ্টুপ। যদিও ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছে মনোজদের।
গত ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া ওপেনার অভিষেক দাসকে বসিয়ে এই ম্যাচে করণ লালকে নামিয়েছিল বাংলা। তিনি ৩০ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান। তিন নম্বরে নেমে সুদীপ ঘরামি মাত্র ১০ রান করেন। অভিমন্যু করেন ৫৭ রান। তিনি শুরুটা ভাল করেছিলেন, কিন্ত বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না। অধিনায়ক মনোজ মাত্র ১ রান করেন। অনুষ্টুপকে সঙ্গ দেন শুভঙ্কর বল। তিনি ৩০ রান করলেও ৯৭টি বল খেলেন। ক্রিজে থিতু হয়েও বড় রান করতে পারলেন না অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শুভঙ্কর। তবে তিনি অনুষ্টুপকে সুযোগ করে দেন ইনিংস গড়ার। তরুণ উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েল ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন। তিনি ৮৩ বলে ৪৯ রান করেন। দিনের খেলা শেষ হওয়ার কয়েক ওভার বাকি থাকতেই তিনি আউট হয়ে যান।
এই ম্যাচে নেই অলরাউন্ডার শাহবাজ় আহমেদ। তিনি ভারতের এক দিনের দলে ডাক পেয়েছেন। তাঁর জায়গায় খেলানো হচ্ছে প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। তিনি দিনের শেষে অপরাজিত ২৩ রানে। অনুষ্টুপও অপরাজিত ১৩৭ রানে। বাংলার হাতে রয়েছে ৪ উইকেট। তিন পেসার নিয়ে খেলতে নামা বাংলা যদিও চাইবে দ্বিতীয় দিনে নিজেদের রান আরও বাড়িয়ে নিতে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার রাস্তা বাংলার কাছে অনেকটা সহজ। এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেলেই রাস্তা খুলে। যদিও বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা ড্রয়ের কথা ভাবছেন না। তিনি চাইবেন বাংলা বাকি দু’টি ম্যাচ থেকেই পুরো পয়েন্ট পাক। সেই লক্ষ্যেই খেলছেন মনোজরা।