এবার মন্দিরে হামলা ও মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল বিহারে। অভিযোগ, আজমনগর এলাকার একটি মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভাঙচুর করে মহম্মদ চাঁদ নামের এক যুবক। অভিযুক্তকে গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। তারপরই তদন্তে নেমে মহম্মদ চাঁদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজমনগর মহল্লায় একটি প্রাচীন ব্রহ্ম স্থান মন্দির রয়েছে। মন্দিরটি স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। ওইদিন সকালে হঠাৎই মন্দিরে ঢুকে পড়ে মহম্মদ চাঁদ নামে ওই ব্যক্তি। সে মন্দিরের ভিতরে ঢুকে উন্মাদের মতো একের পর মূর্তি ভেঙে ফেলতে থাকে। তারপর বেশ কয়েকটি ভাঙ্গা মূর্তি পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। এমনকি মন্দিরের ভিতরে থাকা পুজো উপকরণ একত্র করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে স্থানীয় হিন্দুরা ঘটনার কথা জানতে পারেন। তাঁরা মন্দিরের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের উদ্যোগে লোকজন নামিয়ে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি ভাঙ্গা মূর্তি। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং কঠিন শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয়রা।
পরে তদন্তে নেমে মহম্মদ চাঁদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মন্দিরের সামনের জমি নিয়ে স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের সঙ্গে বিবাদ দীর্ঘদিনের। মন্দিরের স্থায়ী গেট তৈরি করতে চাইলে বারবার বাধা এসেছে। তাই মন্দিরের গেট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। সেই আক্রোশ থেকে মন্দিরে হামলা চালিয়েছে মহম্মদ চাঁদ, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।