বাবুল সুপ্রিয়’র নিরাপত্তা রক্ষীরা কী করছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন NRC শীর্ষক একটি আলোচনা চক্রে ভাষণ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের বলেন, যাদবপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কিছু মানুষ অসভ্যতা করেছে।
মন্ত্রীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীরা তখন কোথায় ছিলেন। তারা কী করছিলেন। অসভ্য লোকদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের হাতে মার খেতে হয়েছে তাঁকে। বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বাইরে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। উপাচার্যের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বাবুলের। বাবুল তাঁকে বলেন পুলিশ ডাকতে।
উপাচার্য রাজি হননি। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলেন তিনি দরকার হলে পদত্যাগ করবেন। পরিস্থিতি সামলাতে হাজির হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরও। ঘেরাও করে রাখে বামপন্থি ছাত্ররা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে রয়েছেন।
তিনি বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ে “স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থা” শীর্ষক আলোচনা চক্রে ‘সংগীত শিল্পী’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় বাবুলকে। এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল অখিল ভারতীয় বিদ্ধার্থী পরিষদ। তবে তাঁদের এই অনুষ্ঠান হতে না দেওয়ার জন্য সকল থেকেই ব্যাপক প্রচার শুরু করে এসএফআই এবং অন্যান্য বাম ছাত্র সংগঠন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ক্যাম্পাসে আশার পর ঝামেলা আরও বাড়ে।