‘যোশীমাঠে জাতীয় বিপর্যয় থেকে সিয়াচেনে মাইনাস ৪০ ডিগ্রিতে অতন্দ্র পহরায়। সর্বত্র ইন্ডিয়ান আর্মির পতাকা উড়ছে। ত্যাগ ও আত্ম বলিদানের উদাহরণ। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সংগঠন ইন্ডিয়ান আর্মি। তাই দীপাবলিতে শত প্রদীপের মাঝে একটা প্রদীপ ভারতীয় সেনার জন্য জ্বালান।” শনিবার পানাগড় সেনাছাউনিতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এমনই আবেদন করলেন অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্ঞানভূষণ সিং।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দু’বছর করোনা আবহের পর আবারও পানাগড় সেনাছাউনিতে প্রাক্তন সেনাকর্মী দিবস পালিত হল। এবারে সপ্তম বছর। মূলত পশ্চিমাঞ্চল রিজিওয়ানের প্রাক্তন সেনাকর্মীদের পেনশন, চিকিৎসা ব্যবস্থা, শহিদ পরিবারের নানান সমস্যা সমাধানের জন্য এক ছাতার তলায় এক বিশেষ মেলার আয়োজন। এই অঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার প্রাক্তন সেনাকর্মী, তাদের পরিবার, শহিদ পরিবার এদিন আমন্ত্রিত ছিলেন। তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ছিল বিশেষ শিবির। এছাড়াও ১৩ জন সেনা শহিদের পরিবারকে সম্মানিত করা হয়। অনেক শারীরিকভাবে অক্ষম প্রাক্তন সেনাদের ট্রাইসাইকেল তুলে দেওয়া হয়।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, অর্জুন, পুরস্কার প্রাপ্ত প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্ঞানভূষণ সিং। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন,” এধরনের অনুষ্ঠান দেশের যুবকদের সেনায় যোগদানে অনুপ্রাণিত করবে।”
অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্ঞানভূষণ সিং সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এটা খুশির বিষয়। সেনায় যোগ দিলে তাঁর আজীবনকাল দায়িত্ব নেয় ইন্ডিয়ান আর্মি। অবসরের পরও তার সুখ-দুঃখের খবর নেওয়া হয়। তার পরিবারের পেনশন, চিকিৎসা ব্যবস্থার দায়িত্ব নেওয়া হয়।” তিনি আরও বলেন, যোশীমাঠে জাতীয় বিপর্যয় থেকে সিয়াচেনে মাইনাস ৪০ ডিগ্রিতে অতন্দ্র পহরা। সর্বত্র ইন্ডিয়ান আর্মির পতাকা উড়ছে। ত্যাগ ও আত্ম বলিদানের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সংগঠন ইন্ডিয়ান আর্মি। তাই দীপাবলিতে শত প্রদীপের মাঝে একটা প্রদীপ ভারতীয় সেনার জন্য জ্বালান।”