ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করায় এক অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশের লখনউ। স্ত্রীর উপর স্বামীর এই নির্মম অত্যাচারের পর পুলিশেও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী তিনি। মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে চাননি, তার জেরে তাঁকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে, কাঁচা মাংস খাইয়ে অত্যাচার করেছেন স্বামী।
ঠিক কী অভিযোগ করেছেন?
অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, স্বামী চাঁদ মোহাম্মদ তাঁর ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে হিন্দু পরিচয় দিয়ে জালিয়াতি করে তাঁকে বিয়ে করেছেন। অভিযুক্ত মহম্মদ বিয়ে করার জন্য সানি মৌর্যের ছদ্মবেশ ও নাম নিয়েছেন। এমনকী বিয়ের পর তাঁরা শহরে ভাড়া বাড়িতেও থাকতে শুরু করেন। আর সেখানেই শুরু হয় অত্যাচার।
মহিলার অভিযোগ যে এই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যৌনতার নামে অত্যাচারও করতেন। ধর্ম পরিবর্তন করবেন না, এই কথা জানার পর থেকেই মহিলার শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতে শুরু করে। এমনকী অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে তার গায়ে গরম তেল ঢেলে দেন ওই ব্যক্তি। নিগৃহীতা এও দাবি করেছেন যে তিনি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ করলে তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। এমনকী আত্মীয়দের ডেকে তাঁকে ধর্ষণ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ওই যুবক।
দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়ে মহিলা বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে চাইলেও ওই মুসলিম ব্যক্তি তাঁকে তাদের ঘরে তালাবদ্ধ করে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে পুলিসে দায়ের করা অভিযোগপত্রে তিনি আরও দাবি করেন যে, যখন তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন তখন মহম্মদ পেটে মারধর করে। যার ফলে তাঁর গর্ভপাত হয়েছিল। নিগৃহীতা একটি ওয়ান কেয়ার সেন্টারে রাখা হয়েছে। এই ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।