সন ১৯৭০: এইভাবেই পরিকল্পনা মত যাদবপুরের উপাচার্য গোপালচন্দ্র সেন কে ক্যাম্পাসের ভেতরেই হত্যা করেছিল নক্সালরা। আজও হল একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি করার এক প্রচেষ্টা

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী বাবুল সুপ্রিয় ও ফ্যাশন ডিজাইনার শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পাল প্রানে বাঁচলেন এই নক্সালদের মারাত্মক আক্রমণের হাতে পড়েও।

বিস্ময়ে তাই জাগে জাগে আমার প্রাণ।কবে বলেছিলেন সত্যদ্রষ্টা কবি। তা যে এত নিষ্ঠুরভাবে তাঁরই জন্মভূমিতে, তাও আবার তাঁরই চির আরাধ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটবে তা এই রাজ্যের সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব করা গুন্ডা শ্রেণীর নেতারা কি দেখছেন।

সারা ভারত ব্যাপী গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ধ্বংস হওয়া একটি বিলুপ্ত প্রজাতির রাজনৈতিক দলের হিংস্র একটি ছাত্র সংগঠনের এমন ধীরস্তা হয় কি করে যে একজন কেন্দ্রীয় নির্বাচিত মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে অপর একটি ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে এলে তাকে কিল ,চড় লাথি সহ ৫ ঘন্টা লাঞ্চনা করা হবে, মহিলা অতীথির বস্ত্র ধরে টান মারার মতো দুঃশাসনেরা সেখানে জনতার অর্থে প্রতিপালিত হয়ে অবাধে সেই অরণ্যভূমি তে পড়ুয়া সেজে বিচরণ করবে। হাঁ ঠিক এটাই ঘটেছে বামপন্থীদের অন্তিম আবাস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ভাবতে পারেন প্রাণ বাঁচাতে মন্ত্রীর অনুরোধে অতি প্রবীণ রাজ্যপাল এসে তাঁকে নিয়ে যান।উপাচার্য এসে আক্রান্ত মন্ত্রীকে ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার করতে পুলিশি সাহায্য নিতে অস্বীকার করলেন। আজ যদি উন্মত্ত ছাত্রদের হাতে তিনি খুন হয়ে যেতেন তাঁর দায়িত্ব কি উপাচার্য নিতেন না? হায়! তিনি সহ উপাচার্যকে নিয়ে হাসপাতালের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলেন।

৫ ঘন্টা রাজ্য সরকার তাদের উচ্ছন্নে যাওয়া সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে ঠুঠো জগ্গনাথ হয়ে গেলেন। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে রাজ্যপালের আইন হাতে নিয়ে বিপন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করার মতো ঘটনা কখনো ঘটেনি। একটি রাজ্যসরকারের কাছে এর চেয়ে কলঙ্কজনক কিছু হতে পারেনা। নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনকে পিছন থেকে মদৎ দিয়ে মন্ত্রী ও মহিলাদের ওপর কুৎসিত আক্রমণের যে কৌশল সরকার নিয়েছিল তার মুখোশ খসে পড়েছে। দেশে জাতীয়তাবাদী শক্তির উত্থান রুখতে বাংলার মাথা বরাবরের জন্য হেঁট করে দিল এই ক্ষমতালিপ্সু স্বৈরাচারী সরকার।

কাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পেটোয়া লোকের একটা তদন্ত কমিটি বসবে যার ফল থাকবে চির অজ্ঞাত। নির্লজ্জ দায়িত্বজ্ঞানহীন মুখ্যমন্ত্রী রাবীন্দ্রিক সংস্কৃতির গুষ্টি উদ্ধার করবেন। এক তোলা বাঙালির জন্য গর্ব বোধ থাকলে রাতারাতি উপাচার্যকে উৎখাত করুন। আবল তাবোল বকার অগে রাজ্যপালের কাছে পত্রপাঠ ক্ষমা চান।

সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.