সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরি নিয়ে যখন রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ রঙীন তখনই আর একটি বিতর্ক মাথা চাড়া দিল রাজধানীর রাজনৈতিক বাতাসে।
এই প্রাক পুজো রাজনৈতিক বিতর্কের নাম ‘চিরকুট বিতর্ক।’
দিল্লির রাজনৈতিক মহলে, নির্দিষ্ট ভাবে বললে কেন্দ্রীয় বিজেপির অন্দর মহলে এখন জোর আলোচনা চলছে এই চিরকুট বিতর্ক নিয়ে। কী এই চিরকুট বিতর্ক?
রাজধানীর রাজনীতির হাঁড়ির খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া একটি চিরকুটের কথা। তাঁদের মতে প্রকাশ্যে মমতা যতই মোদী-শাহের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান না কেন ভেতরে ভেতরে একটি বোঝাপড়ার চেষ্টা তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই করছেন। তাঁদের মতে এবারের দিল্লি সফরের আগে যতবারই মমতা দিল্লিতে এসেছেন ততবারই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করেছেন। এমনকি তিনি নাকি তিনটি নাম লেখা একটি চিরকুটও তুলে দিয়েছিলেন বিজেপির একেবারে শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে। কী ছিল সেই চিরকুটে? সূত্রের খবর, সেই চিরকুটে ছিল তিনজনের নাম। আর অলিখিত যে আবেদনটি তিনি এই চিরকুটের মারফৎ পাঠিয়েছিলেন তা হল এই তিনজনকে যেন তদন্তের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হয়।
এইসবই অবশ্য লোকসভা নির্বাচনের আগের কথা। যখন তৃণমূল ভাবছে যে উনিশে মুখ থুবড়ে পড়বে মোদীর রথ। কাদের নাম ছিল ওই চিরকুটে? তৃণমূলের একজন মহিলা সাংসদ, মমতার ক্যাবিনেটের একজন মন্ত্রী ও নেতা এবং আর একজন মমতার অতি ঘনিষ্ঠ কম বয়সী সাংসদ।
এবারের সফরে আবার ভেসে উঠেছে চিরকুট। তবে ওই একই সূত্রের খবর, এবারে চিরকুট থেকে খসে পড়েছে ওই মহিলা সাংসদ ও তৎকালীন সেই মন্ত্রীর নাম। শুধুমাত্র রয়েছে মমতার অতি ঘনিষ্ঠ যুবা সাংসদের নামটি। অলিখিত আবেদন একই, ‘হে দাদা ঠাকুর রক্ষা করো!’
প্রত্যাশিত ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস খারিজ করছে এই তত্ত্ব। তাদের বক্তব্য, এসব কুৎসা ছাড়া আর কিছু নয়। অন্যদিকে বিজেপি বলছে চিরকুটের তত্ত্ব সত্য হোক বা মিথ্যা, অমিত শাহের সঙ্গে মমতার বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে।
2019-09-19