মৃতদেহ নিতে এসে হতবাক বাড়ির লোকজন। মরদেহ সংরক্ষণ করার জন্য যে সংস্থায় মরদেহ রাখা হয়েছিল তারা বেবাক বলে দিলেন, বডি বেরিয়ে গিয়েছে। প্রবল বিপাকে পড়ে গেলেন মৃতের ছেলে। শেষপর্যন্ত খ্রিষ্টান ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ মিলল নিমতল মহাশ্মশানে। গোটা ঘটনার জন্য কাটগড়ায় তোপসিয়ার পিস ওয়ার্ল্ড।
গত ৬ ডিসেম্বর কলকাতার রিপন স্কোয়ারের বাসিন্দা পি ক্রুপা রাওয়ের(৯২) মৃত্যু হয়। বাবার মৃতদেহ তোপসিয়ার পিস ওয়ার্ল্ডে রেখে যান ক্রুপা রাওয়ের ছেলে জন্সেস রাও। বলে যান সোমবার ৯ জানুয়ারি বডি নিতে আসবেন। আজ সেই দেহ নিতে এসে হতবাক জন্সেস। দেখেন বাবার দেহ নেই। পিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় ক্রুপা রাওয়ার দেহ নিয়ে চলে গিয়েছে তার বাড়ির লোকজন।
ওই কথা জানার পরই হইচই পড়ে যায় পিস ওয়ার্ল্ডে। খবর দেওয়া হয় পুলিসে। ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিস জানতে পারে সোমবার সকালেই একটি দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিমতলা মহাশ্মশানে। তড়িঘড়ি সেখানে যোগাযোগ করা হয়। ততক্ষণে সেই মৃতদেহ ফুল চন্দনে সাজানো হয়ে গিয়েছে। দাহ করার জন্য সবকিছু তৈরি। নিমতলা থেকে সেই মৃতের ছবি পাঠানো হয় পিস ওয়ার্ল্ডে। সেই ছবি দেখে বাবাকে চিনতে পারেন জন্সেন রাও। সঙ্গে সঙ্গে ছোটেন নিমতলায়।
ওই ঘটনা নিয়ে জি ২৪ ঘণ্টাকে জন্সেন রাও জানান, যারা এই বডি নিয়ে গেল তারাও দেখল না, কার বডি! ওরা আমার বাবার বডিকে পুরো রেডি করে রেখেছিল পুরো চন্দন লাগিয়ে। আর একটু মিস হলেই ওরা আমার বাবাকে পুড়িয়ে দিত। কীরকম ডিউটি করে পিসওয়ার্ল্ড! এত আনকেয়ার কেন। আজকে আমার বাবার সঙ্গে হয়েছে, কালকে অন্য কারুর সঙ্গে হতে পারে। আমি জিজ্ঞেস করলাম ৭ নম্বরে আমার বাবার বডি ছিল, সেটা কোথায় গেল। ওরা বলল চলে গেল। আমি বললাম, ৭ নম্বর বডিতে আমাদের। কে নিয়ে চলে যাবে আমার বাবাকে।
জন্সেন রাও আরও বলেন, তপসিয়া থানার ওসি নিজে এসেছিলেন, সব দেখেছেন। ওঁরাই ম্যানেজ করেছেন। আমাদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
আমরা কিছু ঝামেলা করিনি। অন্য কারোর সঙ্গে হলে ছাড়বে তো। প্রশাসনকে বলতে চাই এইসব অ্যাকশন নিন।
আমাদের একটু লেট হলে, ওরা বাবা কে পুড়িয়ে দিত নিমতলা ঘাটে।